প্রতীকী ছবি
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ন’মাস সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালিয়ে রাজ্য পরিবহণ নিগমের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। চাহিদা অনুযায়ী ডিজেল কিনতে না পারায় বেশির ভাগ রুটেই বাসের সংখ্যা মাস খানেক ধরে অর্ধেকেরও কমে এসে ঠেকেছে। অভিযোগ, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রুটে শুধু ব্যস্ত সময়ে বাস চালানো হচ্ছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি টাকার জন্য অর্থ দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য পরিবহণ নিগম। অর্থ দফতরও টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। অভিযোগ, এর পরে দশ দিন কেটে গেলেও নিগমের ঘরে টাকা আসেনি।
তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার কাছে নিগমের বকেয়া পাঁচ কোটি টাকার কাছাকাছি। আপাতত স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে করোনা-পর্বে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবহণ বাবদ পাওয়া ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা সম্বল করে পরিষেবা চালু রেখেছে নিগম। ওই টাকা থেকে তেল এবং টায়ার কিনে গঙ্গাসাগরের যাত্রীদের জন্য দৈনিক ১০০-১২০টি বাস চালানো হচ্ছে। সাগর মেলায় ভিড় কম হওয়ায় সেখানেও বিপুল ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। যাত্রীপিছু যে ৬০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়, তা প্রায় এক দশকের বেশি সময় আগের নির্ধারিত ভাড়া। এই সময়ে গঙ্গাসাগরের বাসে এক দিকের যাত্রী মেলে। কারণ নির্দিষ্ট দিন থেকে যাত্রীরা যাওয়া শুরু করার পরে আবার নির্দিষ্ট দিন ফেরত আসা শুরু করেন। সাধারণ অবস্থায় এসপ্লানেড থেকে কাকদ্বীপের বাস ভাড়া ৭২ টাকার মতো। তা-ও ওই বাসে আসা যাওয়ার পথে যাত্রী মেলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাগর মেলা মিটলেই ফের তেল কেনার টাকা জোগাড় করার জন্য হাহাকার পড়বে বলে আশঙ্কা করছে নিগম। ফলে, দিন কয়েকের মধ্যেই কলকাতা এবং শহরতলির পথে সরকারি বাসের সঙ্কট চরমে পৌঁছনোর আশঙ্কা রয়েছে। যদিও প্রায় একই পরিস্থিতির মধ্যে থাকা দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমকে রাজ্য সরকার সাহায্যের টাকা কিছুটা পৌঁছে দেওয়ায় তাদের পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। অতি সত্বর টাকা না পেলে রাজ্য পরিবহণ নিগমের বাস পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিগমের কর্মী থেকে আধিকারিকদের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy