মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পেল বাংলা। সোমবার জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। কম-বেশি প্রায় সব জেলাই ভিজেছে। সেই সঙ্গে বয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও। কালবৈশাখীর দাপটে কোথায় গাছ ভেঙেছে, কোথাও আবার বাড়ির চাল উড়েছে। তাপমাত্রাও কমেছে। তবে ঝড়বৃষ্টিতে প্রাণ হারালেন এ রাজ্যের ১২ জন। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
মঙ্গলবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা। কোন জেলায় কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, পূর্ব বর্ধমানেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়াতে চার জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া নদিয়াতে ইটভাঁটার ধসে যাওয়া দেওয়ালের নীচে চাপা পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবারের পর মঙ্গলবারেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলবে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমে আসতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই বিষয়ে ১১টি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান এবং বীরভূম। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy