কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছিল খাদ্য দফতরে নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলা। ফাইল চিত্র।
তাঁদের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে জেনেও নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছিলেন রাজ্যের খাদ্য দফতরের চতুর্থ শ্রেণির (গ্রুপ ডি) কর্মীরা। মঙ্গলবার এই মামলার বিচারের দায়িত্বে থাকা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালকে (স্য়াট) বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত এ ব্যাপারে স্যাটের দেওয়া আগের নির্দেশ খারিজ করেছে। নতুন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য স্যাটকে দু’মাস সময় দিয়েছে হাই কোর্ট।
খাদ্য দফতরের নিয়োগে অনিয়মের মামলায় রাজ্যকে গত বছরের নিয়োগ তালিকা বাতিল করে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল স্যাট। স্যাটের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মামলা হয় হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চ খাদ্য দফতরে গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় স্যাটের আগের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, খাদ্য দফতরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল ২০১০ সালে। তার পর ধীরে ধীরে নিয়োগ শুরু হয়। এই নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয় আদালতে। মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘নিয়োগের কোনও পরীক্ষা হয়নি। রাজ্য জানিয়েছিল, ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেই ইন্টারভিউ আবার হয়েছে এক দিনেই। মামলাকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন ওই পরীক্ষায় কয়েক লক্ষ প্রার্থী ছিলেন। একদিনে এতজনের ইন্টারভিউ নেওয়া হল কী ভাবে?’’
মামলাকারীদের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই পুরনো নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করতে বলে স্যাট। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে পাল্টা আর্জি জানায় পুরনো নিয়োগে চাকরি পাওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা। আদালত তাঁদের আর্জিই খতিয়ে দেখতে বলেছে স্যাটকে।
আইনজীবী শামিম জানান, খাদ্য দফতরের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় এক বছর ধরে ইন্টারভিউ হয়েছে। তার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিটিও তৈরি করা হয়। কমিটির সদস্যরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে চাকরির জন্য মনোনীত করেন। অভিযোগ, ওই সদস্যরা তাঁদের পরিচিতদের চাকরি করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy