প্রতীকী ছবি।
শুধু ধানের চাষ বাড়ানো নয়। চালের উৎপাদন বাড়াতে নতুন চালকল তৈরির জন্য বিনিয়োগ টানতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। এর জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের তিন একর সরকারি জমি লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর।
ওই দফতরের কর্তাদের দাবি, রাজ্যের ১২০০ চালকলের মধ্যে এখন প্রায় ৭৬০টি চালু আছে। অন্য চালকলগুলি নানা কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে চালু চালকলের উপরে উৎপাদনের ব্যাপক চাপ পড়ছে। অনেক সময়ে দ্রুত উৎপাদন করতে গিয়ে খারাপ হয়ে যাচ্ছে চালের মান। এই অবস্থায় নতুন চালকল গড়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
চাল মজুত করার ক্ষমতা বাড়াতে নতুন গুদামঘর তৈরির পরিকল্পনা করেছে খাদ্য দফতর। সরকারি খাস জমিতে বা বাজারদরে জমি কিনে বিভিন্ন জেলায় গুদামঘর বানানো হবে। সেই সব গুদামের লাগোয়া জমিতেই আধুনিক চালকল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১০ একর জমিতে গুদামঘর এবং তিন একর জমিতে নতুন চালকল বানাতে চায় রাজ্য। ওই সব কলে ঘণ্টায় কমপক্ষে ৩০ টন চাল মিলবে।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, এই মডেল সফল করতে আট সদস্যের একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ, কৃষি, খাদ্য এবং ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের কর্তারা ছাড়াও তাতে রাখা হচ্ছে ধান-চাল বিশেষজ্ঞদের। নতুন প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ কোনও চালকল খোলা যায় কি না, তা-ও দেখবে ওই কমিটি।
খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, গুদাম ও চালকল গড়ার জন্য প্রথম ধাপে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়িকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি, বিভিন্ন জেলায় ৫০-৬০ হাজার টন চাল মজুত করে রাখার উপযুক্ত গুদামঘর তৈরি করা হবে। প্রথম ধাপে বানানো হবে ২০টি গুদামঘর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy