প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে রাজ্যে। তাতে নিজেদের ভাগের টাকা দেওয়ার পরেও শহরাঞ্চলের গৃহহীন গরিবদের ২০ হাজার বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই বাড়ি তৈরি হবে সরকারি জমি বা পুরসভার জমিতেই। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘বাংলার বাড়ি’। শহরাঞ্চলে যে-সব বাসিন্দার নিজস্ব বাড়ি নেই এবং বছরে যাঁদের আয় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার বেশি নয়, তাঁরাই এই প্রকল্পে ফ্ল্যাট পাবেন বলে জানাচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির প্রকল্পে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যকেও তো নির্দিষ্ট হারে টাকা গুনতে হচ্ছে। তা হলে আবার এই ‘বাংলার বাড়ি’র প্রয়োজন কেন?
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাংলার বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য। এর সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ যেমন চলছে, তেমনই চলবে।’’
তবে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের পর্যবেক্ষণ, শহুরে গরিবদের বাড়ি দেওয়ার এই প্রকল্পের পিছনে আছে ভোটের অঙ্ক। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ সালে। সে-দিকে নজর রেখেই এই তিন বছরের মধ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ২০ হাজার ফ্ল্যাট দিতে চায় রাজ্য।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই বাড়ি তৈরির জন্য কেএমডিএ, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদকে দায়িত্ব দিয়েছে। ওই সব ফ্ল্যাটবাড়ি হবে ‘জি প্লাস থ্রি’ অর্থাৎ চারতলা। চার কাঠা জমির উপরে প্রতিটি ব্লকে থাকবে ১৬টি ফ্ল্যাট। একটি ফ্ল্যাট তৈরি করতে খরচ হবে চার লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ২৮৫ বর্গফুট। প্রাপকদের দিতে ৫৫ হাজার টাকা।’’
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, কেএমডিএ, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বাড়ি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে দিয়ে দেবে। যাঁরা বাড়ি পাবেন, তাঁদের তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি হস্তান্তর— সবই করবে সংশ্লিষ্ট পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy