রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে অন্তত তেমনই একটি খবর পাওয়া যাচ্ছে। কাকে আনা হবে, কাকে সরানো হবে এ নিয়েও ইতিমধ্যে দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে ঠাঁই হতে পারে সুজিত বসু, সমীর চক্রবর্তী এবং মহুয়া মৈত্রর। এ ছাড়া জঙ্গলমহলের কোনও বিধায়ককে মন্ত্রী করা হতে পারে।
তবে যাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন চলছে, তিনি হলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভা থেকে পুরোপুরি বাদ পড়তে পারেন পার্থবাবু। তাঁকে সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কারণ শিক্ষা দফতর নিয়ে গত কয়েক বছরে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সে কারণেই তাঁকে ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে দলের একটা অংশের মত।
আবার কেউ কেউ বলছেন, একসঙ্গে এত কিছু তিনি সামলাতে পারবেন না বলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পরিবর্তে সেই জায়গায় জেলার কোনও মন্ত্রীকে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আবার দলেরই একটা অংশ বলছে, পার্থবাবুকে শিক্ষা দফতর থেকে পুরোপুরি না সরিয়ে শিক্ষা দফতরকে প্রাথমিক-মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা এই দু’ভাগে ভাগ করে অন্য কাউকে সেই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: গবেষণার স্বপ্ন গরাদেই আটকে গেল! জেলেই অনশনে মাও নেতা অর্ণব
অন্য দিকে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব বাড়ানো হতে পারে একটা গুঞ্জন চলেছে। এবং পূর্ণেন্দু বসুকে দায়িত্ব থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে চলতি মাসে। দু’দিনের জন্য এই বিশেষ অধিবেশন। দিন ক্ষণ ঠিক না হলেও বড় দিনের আগে হবে বলেই সূত্রের খবর। ওই সময়ে ডেপুটি স্পিকার এর শপথ গ্রহণ হবে। যেহেতু এই পদে মনোনয়ন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে তাই অধিবেশন কক্ষের দরকার। সে কারণে আপাতত ঠিক হয়েছে দু’দিনের অধিবেশন বসবে।
তবে সরকারের কোনও বিল আছে কিনা সেটাও দেখা হবে। যদি সে রকম কিছু থাকে তা হলে অধিবেশন আরও দু’তিন দিন বাড়ানো হতে পারে। তবে বড় দিনের আগে অধিবেশন করা নিয়ে সময়ের জটিলতা আছে কিনা সে দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। বড় দিনের পরে অধিবেশন করা যায় কিনা পাশাপাশি সে দিকটাও নজরে রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy