শুরু মনোনয়ন পর্ব থেকে। প্রচারেও যুব বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দিনহাটা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গোলমালেই বৃহস্পতিবার রাতভর বোমাবাজি হয়। বিধায়ক উদয়ন গুহও আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও বিধায়ক তা অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁর সভায় এক জন নির্দল প্রার্থী যে হইচই বাধিয়েছিলেন, তা মানছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যুব সদস্যদের অভিযোগ, দল তাঁদের প্রার্থী করছে না। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ মানতে চাননি। বিরোধীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুব ও তৃণমূলের দ্বন্দ্বেরই আর এক দফা দেখা গেল খরখরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলের মাঠে। সেখানে সভায় এক যুবক নিজেকে যুব তৃণমূল বলে পরিচয় দিয়ে উদয়নবাবুর দিকে তেড়ে যান। তাঁর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা জানান, তখন মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উদয়ন বলেন, “দলের সভা চলাকালীন একটি ছেলে নির্দল পরিচয় দিয়ে হইচই করেন। সবাই তাঁকে সরিয়ে দেন। যাঁরা দলের কর্মী-সদস্য হয়েও নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা বিরোধীদের সুবিধে করে দিচ্ছেন।” অন্য দিকে, যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “বিদায়ী সদস্যরা অনেকেই বাদ পড়েছেন। এই সমস্যার কারণ কিছু নেতার বিচক্ষণতার অভাব।’’
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দের বলেন, “উদয়নবাবুরা যে সন্ত্রাস কায়েম করেছেন, তার জবাব তাঁর দলের কর্মীরাই দিচ্ছেন।” এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy