রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মুকুল রায়ের শ্যালককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সৃজন রায়। অভিযোগ, ২০১২ সালে রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েক জন যুবকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। এখন তিনি বিজেপিতে। সৃজন মুকুলের শ্যালক। মুকুলের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটা রাজনৈতিক যড়যন্ত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, মুকুল রায়ের নাম করেই সৃজন রেলে চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছিলেন। জগদ্দল এবং বীজপুর থানায় গত এক মাসে সৃজনের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ি থেকে সৃজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ব্যারাকপুর আদালত তাঁকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। সৃজনের বাড়ির লোকেদের অবশ্য দাবি, কাঁচরাপাড়ার বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার রাজেশ সিংহ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ ব্যারাকপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী পল্লব চৌধুরী জানান, কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা মনোজকুমার সাউ গত মার্চে আদালতে সৃজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানান। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালত তা বীজপুর থানায় পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সৃজনকে ৪১-এ ধারায় নোটিস পাঠিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি থানায় যাননি। তার পরেও দীর্ঘদিন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
মনোজ, নরেশ গণ, আবিদ আলি, দিব্যেন্দু বিশ্বাসদের অভিযোগ, চাকরি দেবেন বলে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সৃজন। তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, অভিযোগ করতে এত সময় লাগল কেন? মনোজ-সুরেশদের দাবি, মুকুল এবং সৃজন যথেষ্ট প্রভাবশালী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস হয়নি। এখন সাহস হল কী করে? অভিযোগকারীরা বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনকে পাশে পাব বলে এখন মনে হচ্ছে। সেই জন্যই বিচারের আশায় অভিযোগ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy