রবিবার সন্ধ্যার ঝড়-বৃষ্টিতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে প্রবল সমস্যায় পড়লেন যাত্রীরা।
পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের শহরতলির একাধিক লোকাল ট্রেন ওই সন্ধ্যায় দেরিতে ছাড়ে। বেশ কিছু ট্রেন মাঝপথে থামিয়ে দিতে হয়। রেল সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৭টার আগেই হাওড়া-বর্ধমান কর্ড এবং মেন লাইনে ঝড়ের দাপটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শিয়ালদহ শাখায় সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে ট্রেন চলাচল থমকে যায়। সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে। রবিবার রাত ন’টা নাগাদ বিভ্রাট দেখা দেয় মেট্রোতেও। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে নিউ গড়িয়াগামী একটি নন-এসি রেক আচমকা বিকল হয়ে পড়লে কুড়ি মিনিটের জন্য মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়। রবিবার অন্য দিনের তুলনায় মেট্রোর সংখ্যা কম থাকায় ওই বিভ্রাটের প্রভাব কম ছিল।
রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা এবং শিয়ালদহ রানাঘাট শাখায় সন্ধ্যা সাতটা কুড়ি মিনিট থেকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। প্রবল ঝড়ের জেরে আপ এবং ডাউন লাইনে একাধিক স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রাত দশটা চল্লিশ মিনিটের পরে ট্রেন স্বাভাবিক হয়। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট, বনগাঁ, বারাসত, হাসনাবাদ, ব্যারাকপুর, নৈহাটি সব শাখাতেই কম বেশি ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।
হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে সন্ধ্যা ছ’টা পঞ্চাশ মিনিটের পর থেকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ওই শাখায় ঝড়ের দাপট এতটাই বেশি ছিল যে বহু স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘শিয়ালদহ শাখায় ঝড়-বৃষ্টির জন্য ২৫টি ট্রেন দেরিতে চলেছে। দু’টি ট্রেন বাতিল করতে হয়। ঝড় থেমে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’’
দক্ষিণ-পূর্ব রেলে হাওড়া থেকে আমতা, বাগনান এবং খড়গপুর শাখাতেও ট্রেন দেরিতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy