ফাইল ছবি।
রাজনীতি ছাড়ছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে তিনি যে বিজেপি-ও ছাড়ছেন, তা পরিষ্কার হয়ে যায় ওই পোস্টেই। বাবুলের ওই পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তা হলে কি সাংসদ পদও ত্যাগ করতে চলেছেন তিনি? সেই জল্পনাই সত্যি করে ঠিক ঘণ্টাখানেক বাদে বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট নাগাদ রাজনীতি থেকে বিদায় জানানোর পোস্টেই একটি বাক্য জুড়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন বাবুল। লিখলেন, ‘হ্যাঁ, সাংসদ পদ থেকেও অবশ্যই ইস্তফা দিচ্ছি।’
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। একের পর এক পোস্টে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের উপর ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর ‘দ্বন্দ্ব’ বারে বারে প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিক অতীতে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের পদ থেকে বাবুল বাদ পড়তেই সেই দূরত্ব আরও বেড়েছিল। তার পর বেশ কিছু দিনের নীরবতা। শেষমেশ বাবুল জানিয়ে দিলেন, রাজনীতি তো ছাড়ছেনই, সাংসদ পদেও আর থাকবেন না তিনি।
ফেসবুক পোস্টে বাবুল জানিয়েছেন, রাজনীতির বাইরে থাকলেও আগামী দিনে তিনি সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত থাকতে চান। লিখেছেন, ‘সমাজসেবা করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়। নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর।’ রাজনীতি ছাড়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনা করেছিলেন তিনি। পোস্টে লেখেন, ‘বিগত কয়েকদিনে বার বার মাননীয় অমিত শাহ ও মাননীয় নাড্ডাজির কাছে রাজনীতি ছাড়ার সঙ্কল্প নিয়ে গিয়েছি এবং আমি ওঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ যে প্রতিবারই ওঁরা আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করে ফিরিয়ে দিয়েছেন।’
রাজনীতি এবং সাংসদ পদ ত্যাগ করার কথা জনসমক্ষে এই ভাবে জানিয়ে তিনি যে কোনও পদের আশা বা দরাদরি করতে চাইছেন না, তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন বাবুল। পোস্টেই লিখেছেন সে কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy