ছবি: সংগৃহীত।
অবশেষে ইসিএলে চাকরি পেলেন পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের জামবাদের মৃত এক খনিকর্মীর স্ত্রী। তা-ও আবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে। স্বামী ধর্মেন্দ্র ভুঁইয়ার মৃত্যুর প্রায় ২৪ বছর পরে চাকরি পেয়ে খুশি স্ত্রী গীতা।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮-এ সংস্থার জামবাদ কোলিয়ারির খনিকর্মী ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু হয়। ধর্মেন্দ্রর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে ‘মৃতের পোষ্য’ হিসাবে তাঁকে চাকরিতে নিয়োগের জন্য আবেদন জানান স্ত্রী গীতা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও, তাঁকে চাকরিতে নিয়োগ বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। গীতার দাবি, ২০০৯-এ সংস্থা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফের নথিপত্র জমা দিতে বলেন। তিনি তা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১০-এ তাঁকে মৌখিক ভাবে জানানো হয় যে, তাঁকে চাকরিতে নিয়োগ করা যাবে না। গীতার আরও দাবি, ২০১১-তে তাঁকে ফের নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়। ২০১৪-তে জানানো হয়, ‘অনেক দেরি হয়ে যাওয়ায়’, তাঁকে নিয়োগ করা সম্ভব নয়। গীতা বলেন, “আমার জমা দেওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখার জন্য ২০১৬-তে ফের সংস্থা কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠান। কিন্তু তাতে সমাধান না হওয়ায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হই।”
গীতার আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, গত ১৬ মার্চ হাই কোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ইসিএলকে দ্রুত তাঁর মক্কেল গীতাকে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে মৃত খনিকর্মীর স্ত্রী গীতাকে গত ২৬ এপ্রিল জামবাদ কোলিয়ারিতে নিয়োগ করা হয়েছে।
নিয়োগে কেন এত দেরি হল? এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সংস্থা কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy