রাজ্যে জামাতের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ধৃত সুজেনা বেগম ও জাকারিয়া আলমকে জামিনে মুক্তি দিল আদালত। প্রায় ৪ মাস পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা।
গত বছর বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সূত্র ধরে, রাজ্য পুলিশ জামাত নেতা শাহনুর আলম ওরফে ডাক্তারের কথা জানতে পারে। বরপেটার চটলা গ্রামের বাসিন্দা শাহনুরকে বাড়িতে না পেয়ে গত বছর অক্টোবর মাসে তার ভাই জাকারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াবার পরে গত ৭ নভেম্বর গুয়াহাটির আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস থেকে ধরা পড়ে শাহনুরের স্ত্রী সুজেনাও। জেরায় জানা যায়, সে ও জাকারিয়া পশ্চিমবঙ্গের দু’টি মাদ্রাসায় জেহাদি ভাবাদর্শ ও ছোট অস্ত্র চালাবার প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। শাহনুরের সঙ্গেই বরপেটার মাদ্রাসায় মেয়েদের মধ্যে জেহাদি আদর্শ ছড়ানো, হাওলার মাধ্যমে আসা টাকার হিসাব রাখার কাজ করত সুজেনা। জাকারিয়াও শাহানুরের সঙ্গী ছিল। তবে শাহনুরের অন্য ভাই ও বাবা পৃথক থাকতেন। ৬ ডিসেম্বর শাহনুর গ্রেফতার হয়। জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে আসা টাকা সে বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসায় পাঠাত। বাংলাদেশ থেকে আসা ধর্মগুরুদের দিয়ে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করত শাহনুর। তাকে জেরার জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সে জেলেই রয়েছে। পুলিশ হেফাজতে জেরার পরে সুজেনা ও জাকারিয়াকে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে কোনও আপত্তি না জানানোয় ২ মার্চ জাকারিয়া ও ৩ মার্চ সুজেনা জামিন পেয়ে যায়। তারা গত কাল রাতে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ঘরে ফেরার পরে সুজেনা ও জাকারিয়া কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বা কোনও তথ্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে কী না তার উপরে কড়া নজর রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy