দলের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা সরকারি কর্মী সংগঠনের আত্মপ্রকাশের দিনে তাঁদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে দিলেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব।
মৌলালি যুব কেন্দ্রে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য কনভেনশন হয়েছে মঙ্গলবার। সেখানে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকারের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট কর্মসংস্কৃতি, স্বচ্ছতা এবং রাজনীতিমুক্ত জনকল্যাণ এই তিন ‘মন্ত্রে’ ওই সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন তাঁরা। অদূর ভবিষ্যতে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। তাই সরকারি কর্মীদের উপর প্রভাব বাড়াতে সক্রিয় হয়েছে তারা। কিন্তু বিজেপি বিরোধী দল বলেই তাদের সংগঠনের সঙ্গে কর্মীরা পরিষেবার কাজে ফাঁকি দিতে পারেন, এমন ধারণা তাঁরা প্রশ্রয় দেবেন না বলে রাহুলবাবুরা এ দিনই সাফ জানিয়েছেন।
কনভেনশনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের ৬৭টি সংগঠন যোগ দিয়েছিল। সেখানে রাহুলবাবু বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন, গতানুগতিক ভাবে চলবেন, তা হলে হাতজোড় করে বলব, চলে যেতে পারেন। আমরা আমূল পরিবর্তন, আমুল সংস্কার চাই।” রাহুলবাবুর নির্দেশ, সরকার যদি কোনও ভাল কাজ করে, তা হলে অবশ্যই তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বিজেপি বিরোধী দল বলে সরকারকে বিপাকে ফেলতে ওই পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না। কারণ, রাজনীতির স্বার্থে রাজ্যকে পিছিয়ে দিতে বিজেপি চায় না। শমীকবাবু বলেন, “প্রত্যেক কর্মীকে নিজের মতো করে কাজ করতে হবেই। কারণ শুধু আমলা দিয়ে কাজ চালানো যায় না।” সরকারি কর্মীদের কাছে শমীকবাবুর আবেদন, “কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা রাজনৈতিক খাতে খরচ করা হলে আপনারা তার প্রতিবাদ করবেন। নতুন বাংলা গঠনের লক্ষ্যে আপনাদের লড়তে হবে।”
সরকারি কর্মীদের ৪৯% বকেয়া মহার্ঘ ভাতার মধ্যে ৭% দেবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এখনও ৪২% বকেয়া। রাহুলবাবুর বক্তব্য, “রাজ্য সরকার ৭% মহার্ঘ ভাতা দেবে বললেও এখনও দেয়নি। অতএব এখনও আপনারা ৪৯%-এর রেকর্ডই বাজান। কারণ এই সরকার যে কোনও মুহূর্তেই বলতে পারে দেব না বা পরে দেব।” সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি অশোক সিংহ, অশোক সরকার, সভাপতি অনির্বাণ চৌধুরীরা পরে পরিষদের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবেন। তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ছেড়ে সঙ্কেত চক্রবর্তী এবং ক্যালকাটা ট্রামওয়েজের কর্মীদের একাংশ এ দিন পরিষদে যোগ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy