ধর্মতলার সভায় সূর্যকান্ত। - নিজস্ব চিত্র
বিরোধী দলের মতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে, অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে শাসক দল! প্রশাসনিক কাজকর্ম শিকেয়। শাসকের এই বিরোধীর মতো আচরণকে বিঁধেই এ বার তাদের বিরুদ্ধে আরও বড় আকারে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
সারদা-সহ নানা কাণ্ডে রাজ্য সরকার যত কোণঠাসা হচ্ছে, ততই ভাষা এবং জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রধান বিরোধী পক্ষ বামফ্রন্ট। সাম্প্রতিক কালে রাজ্য রাজনীতির ময়দানে বামেরা যে ভাবে তৎপরতা বাড়িয়েছে, সেই ধারা মেনেই সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকদের নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে তারা। সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক সংগঠনের লাগাতার ধর্না-অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে সোমবার বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, “এই সরকার যে ভাষা বোঝে, তা আয়ত্ত করতে হবে!” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় রাজ্য সরকারি স্তরে এই প্রথম দাবি আদায়ে ধর্মঘটের পথে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তাঁরা। সংসদের বাজেট অধিবেশনের সময় কেন্দ্রীয় স্তরেও বড় কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) আদায়-সহ ৬ দফা দাবি নিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্না-অবস্থানে বসেছিল সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, পুরকর্মী মিলে মোট ১৫টি সংগঠন। টানা পাঁচ দিনের এমন অবস্থান সাম্প্রতিক কালে বেনজির। ধর্নায় মাঝে এক দিন এসে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলে গিয়েছিলেন সূর্যবাবু। তিনিই এ দিন সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ধর্না তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। যে কাজ করার কথা সরকারের! সেই প্রসঙ্গ তুলেই বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, “সরকার কোথায়? প্রশাসন তো চলছে না। কার কাছে দাবি জানাবেন? সরকারকে দেখে মনে হচ্ছে, তারা বিরোধী পক্ষে আছে! যাদের পরিবহণ সচল রাখার দায়িত্ব, তারাই গাড়ি চালাতে বাধা দিচ্ছে।” সূর্যবাবুর মন্তব্য, এখানে পুলিশ আক্রান্ত। সরকারি কর্মী বা শিক্ষকদের কথা বলার অধিকার নেই। এমনকী, আদালতের কাজেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকার চলছে, বলা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy