প্রতীকী ছবি।
কত জনের স্নানের ঘরে কোমর পর্যন্ত দেখা যায়, এমন আয়না রয়েছে?— স্তন ক্যানসার-সচেতনতা শিবিরে অঙ্কোলজিস্ট শারদ্বত মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নে অনেকেই খানিক অবাক। বিভ্রান্তি মেটালেন চিকিৎসক—‘‘স্নানের ঘরে ওই রকম আয়না থাকলেই স্তনের কোনও পরিবর্তন চট করে নজরে পড়তে পারে মহিলাদের। তা ছাড়া, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজের স্তন হাত দিয়ে পরীক্ষা করা সহজ হয়।’’
স্তন ক্যানসার সম্পর্কে অজ্ঞতা, স্তন নিয়ে অহেতুক স্পর্শকাতর হওয়া, লজ্জা পাওয়া এবং ‘সেল্ফ এগজামিনেশন’ বা নিজেই নিজের স্তন কী ভাবে পরীক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কে ধারণা না-থাকার জন্য এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মত চিকিৎসকদের।
সোমবার ৩০ অক্টোবর স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল এলগিন রোডের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিকস। সেখানে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ স্মিতা ঘুটঘুটিয়া বলেন, ‘‘আমার অভিজ্ঞতায় ২৫-৪০ বছরের অনেক শিক্ষিত মহিলাও স্তনের ব্যাপারে খোলাখুলি বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা করতে চান না। তাঁদের মধ্যে বলিউড থেকে শুরু করে গয়না, বস, বাচ্চা সব নিয়ে আলোচনা চলে। কিন্তু স্তনের কোনও সমস্যাকে তাঁরা সামনে আনেন না। এতে রোগ ভিতরে ভিতরে বেড়ে যায়।’’
অঙ্কোলজিস্ট শারদ্বতবাবুও বলেন, ‘‘অনেক মহিলা স্তনে মাংসপিণ্ড টের পেয়েও পুরুষ ডাক্তারকে কী ভাবে দেখাবেন, কোথায় মহিলা ডাক্তার খুঁজবেন, এটা ভাবতে ভাবতে দেরি করে ফেলেন। আবার অনেক পুরুষও চিকিৎসকের কাছে আসতে দেরি করেন। কারণ স্তন ক্যানসার যে ছেলেদেরও হয়, এই ধারণাটাই অনেকের নেই।’’ স্তন ক্যানসার দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য আল্ট্রাসোনোগ্রাফি বা ম্যামোগ্রাফির মতো পদ্ধতি রয়েছে। এর পাশাপাশি, সুরক্ষা ডায়াগনস্টিকস তাদের কিছু শাখায় ‘আই ব্রেস্ট’ নামে একটি পদ্ধতি চালু করছে। এতে ৪০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে স্তনের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া ধরা পড়বে যা স্তন ক্যানসারের অন্যতম ইঙ্গিতবাহী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy