কিছুটা স্বস্তিতে উইকিলিকস-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
চার্জ গঠনের সময়সীমা ফুরিয়ে যাওয়ায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে যে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার মধ্যে তিনটি প্রত্যাহার করে নিলেন সুইডিশ আইনজীবীরা। তবে ওই বছরই পরের দিকে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, তার তদন্ত চলবে।
একের পর এক গোপন ফাইল, তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা উইকিলিকস-এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল আমেরিকা। এরই মধ্যে ২০১০ সালে সুইডেন সফরে যাওয়ার পর অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দু’বার যৌন হেনস্থা, ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করার (মোট চারটি) অভিযোগ উঠে।
উইকিলিকস-প্রতিষ্ঠাতা অবশ্য বরাবরই এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাঁর দাবি, যা কিছু হয়েছিল, তা ওই দুই মহিলার সম্মতিতেই হয়েছিল। পরে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিজেকে নিরপরাধ দাবি করলেও তদন্তের স্বার্থে সুইডেনে যেতে রাজি হননি অ্যাসাঞ্জ। তাঁর আশঙ্কা ছিল, সুইডেনে গেলেই তাঁকে তুলে দেওয়া হবে আমেরিকার হাতে। ৭৫তথ্য ফাঁসের ‘অপরাধে’ আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১২ সালের জুন মাস থেকে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। সেখানেও বহু বার তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন সুইডিশ কৌঁসুলিরা। কিন্তু প্রতি বারই ব্যর্থ হন।
এ দিকে সুইডেনে যে কোনও মামলা নিষ্পত্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। সময় পেরিয়ে গেলে মামলা বাতিল হয়ে যায়। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেলের যে অভিযোগ ছিল, তার তদন্তের জন্য সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর। এই অগস্টে সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগটি থাকছেই। কারণ ওই মামলা শেষ করার জন্য ১০ বছর সময়সীমা বরাদ্দ রয়েছে। ফলে ২০২০ সাল পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জের ফাঁড়া কাটছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy