জালিয়াতির অভিযোগে সাজা আবেদনকারী সেন্ডরের। ছবি: সংগৃহীত।
বিমার টাকা আদায়ের জন্য রেলের চাকার তলায় বলি দিয়েছিলেন দু’টি পা! কিন্তু এমন ‘আত্মত্যাগেও’ লক্ষ্যপূরণ হল না হাঙ্গেরির এক ব্যক্তির। বিমা কোম্পানির তোলা ‘সাজানো দুর্ঘটনার’ যুক্তিই মেনে নিয়েছে আদালত।
ঘটনাটি ২০১৪ সালের। হাঙ্গেরির নেয়ার্কসসজরির বাসিন্দা ৫৪ বছরের সেন্ডর নিজের অঙ্গগুলির উপর মোট ২৪ লক্ষ ইউরোর (প্রায় ২৩ কোটি টাকা) ১৪টি বিমা করিয়েছিলেন। এর কিছু দিন পরেই রেললাইনে পা জোড়া কেটে চলন্ত ট্রেনের চাকায় কেটে ফেলার বন্দোবস্ত করেন। তার পর বিমা সংস্থাগুলির কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান।
কিন্তু দুর্ঘটনার ‘ধরন’ নিয়ে সন্দেহ হওয়ার ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে বিমা সংস্থাগুলি। ফলে বিষয়টি গড়ায় আদালতে। বুধবার হাঙ্গেরির ‘পেস্ট সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট’ বিমা সংস্থাগুলির যুক্তি মেনে নিয়ে জানিয়েছে, সেন্ডর ইচ্ছাকৃত ভাবে ট্রেনের চাকার তলায় পা রেখেছিলেন। তাই তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নন। জালিয়াতির অভিযোগে, সেন্ডরের দু’বছরের জেল এবং ৪,৭০০ ইউরো (প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা) জরিমানাও করেছেন বিচারক। যদিও শারীরিক ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে জেলে নাও যেতে হতে পারে।
প্রকাশিত খবরে দাবি, কয়েক দিনের ব্যবধানে ১৪টি বিমা করানোর পর যে ভাবে সেন্ডর পা হারিয়েছিলেন, তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে বিচারকের মনে। পাশাপাশি, মধ্য আয়ের ওই ব্যক্তি কেন হঠাৎ বিপুল অঙ্কের বিমা করেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল বিস্তর।
দীর্ঘ সাত বছরের শুনানি-পর্বে অবশ্য সেন্ডর বার বার দাবি করেছেন, রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা কাচের টুকরোয় পিছলে গিয়েই তাঁর পা জোড়া চলন্ত ট্রেনের চাকার তলায় চলে গিয়েছিল। পাশাপাশি যুক্তি দিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ার কারণেই বিমায় লগ্নি করেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy