প্রতীকী ছবি।
শাশুড়িকে খুন করে তাঁর দেহ ছ’টুকরো করে কাটলেন বউমা। তার পর এক একটি টুকরো পুঁতে দিলেন বাড়ির উঠোনে। প্রমাণ লোপাটের এমন চেষ্টার পরও অবশ্য ঘটনাটি শেষপর্যন্ত চাপা থাকেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করে খুনে অভিযুক্তকেও।
বাংলাদেশের কক্সবাজারের এই ঘটনাটির খবর জানিয়েছে, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো। তারা জানিয়েছে, নিহত মহিলার নাম মমতাজ বেগম। তাঁর বয়স ৬০। তাঁর পুত্রবধূ রাশেদা বেগম মমতাজের আপন ভাইঝি। বয়স ২৫। রাশেদার সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় মমতাজের ছেলে মহম্মদ আলমগীরের। তবে তার পর পিসি-ভাইঝি থেকে শাশুড়ি-বউমা হওয়া মমতাজ-রাশেদার বনিবনা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায়ই অশান্তি হত রাশেদা-মমতাজের। শনিবার তেমনই একটি ঘটনায় রাশেদা তাঁর শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন। তারপর মমতাজের দেহ টুকরো করে কেটে তা বাড়িরই উঠোনে পুঁতে দেন। মমতাজের পুত্র মায়ের খোঁজ করলে রাশেদা জানান, তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি।
মায়ের খোঁজ না পেয়ে ফেসবুকে ছবি দিয়ে খোঁজও করেন আলমগীর। শেষে রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়িরই উঠোনে উঁচু করা মাটির ঢিবি দেখে সন্দেহ হওয়ায় মাটি খুঁড়ে মায়ের দেহের অংশ এবং শাড়ি দেখতে পান তিনি। তারপরেই খবর দেন পুলিশকে।
পুলিশ ওই দেহ উদ্ধার করার পর রাশেদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নেন রাশেদা। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy