Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Bangladesh

ভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই বিজয় দিবসের আবেগ

১৯৭১-এ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে শেষ হয়েছিল ভারত-পাক যুদ্ধের, সৃষ্টি হয়েছিল নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বিজয় দিবসের আগের দিন ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের জন্য সাজো সাজো রব।

An image of Sheikh Hasina

শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৩
Share: Save:

ভোটের প্রস্তুতি আর বিজয় দিবসের প্রস্তুতিতে একাকার বাংলাদেশ। ১৯৭১-এ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে শেষ হয়েছিল ভারত-পাক যুদ্ধের, সৃষ্টি হয়েছিল নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে এ বার বিজয় দিবসের আগের দিন ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের জন্য সাজো সাজো রব।

শরিকদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার পরে তাদের আপাতত ৭টি আসন ছাড়ার কথা জানিয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। বিরোধী পক্ষের ভূমিকা নিতে প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিলেও, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কৌশলগত আসন সমঝোতার পথে চলেছে তারাও। দর কষাকষিতে আসন সংখ্যাটি চূড়ান্ত করতে শুক্রবার গভীর রাতেও বৈঠক চলেছে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। আবার ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকলেও শনিবার বিজয় দিবসে দলীয় দফতরের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছে, যা তাৎপর্যপূর্ণ।

৩০ নভেম্বর নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তার পরে প্রাথমিক বাছাইয়ে ৫৫৮ জনের মনোনয়ন খারিজ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীরা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর এক দফা আবেদন করতে পারেন। তার পরে মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে দেওয়া নথিপত্র নতুন করে যাচাই বাছাইয়ের পরে ২৭৫ জন প্রার্থিপদ ফিরে পেয়েছেন বলে শুক্রবার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে ৩০০টি আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২২৬০ জন। রবিবার পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা রয়েছে। ওই দিন বিকেলে প্রার্থীর চূড়ান্ত সংখ্যা ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং ঋণ খেলাপের কারণে বরিশাল-৪, ফরিদপুর-৩ এবং কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ দিন জানিয়েছেন, দুই শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-কে তিনটি করে এবং জাতীয় পার্টি (জেপি)-কে একটি আসন ছাড়া হচ্ছে। শরিকেরা আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়েই লড়বে। কিন্তু, তাদের জয়ের গ্যারান্টি আওয়ামী লীগ দেবে না। প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাদের বলেন, এঁদের হারিয়ে শরিকেরা জিততে পারলে জিতবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh sheikh hasina Victory Day
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE