—প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশে বিএনপির ডাকা ২ দিনের হরতালে কোনও প্রভাবই পড়েনি জনজীবনে। রবিবার প্রথম দিনের হরতালের পরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেছিলেন, ‘অনিবার্য গণঅভ্যুত্থানের পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে’। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেও মাঠে মারা গিয়েছে পদধ্বনি। তবে এ দিনও ঢাকার মিরপুরে একটি দোতলা বাসে এবং চট্টগ্রামে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হচ্ছে হরতাল। তার পরে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিলেন বিএনপি নেতৃত্ব। বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সড়ক, রেল ও জলপথে চলা যানবাহন বন্ধ করতে এই অবরোধ করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন রিজভি।
সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এ দিন নেতা-কর্মীদের জন্য মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু করেছে। এ দিন বেলা ১২টায় চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে ফর্ম বিক্রি শুরু হয়। তবে মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যোগ দেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তিনি এখনও মনে করেন, নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে মতভেদ মেটাতে রাজনৈতিক দলগুলিকে আলোচনার জন্য সময় দেওয়া উচিত ছিল। মহাসচিব হক জানান, মনোনয়ন ফর্ম খতিয়ে দেখে তাঁদের পার্লামেন্ট বোর্ড প্রার্থী বাছাই করবে। দলের নেতৃত্ব প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করবেন। ২৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের চেষ্টা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির মধ্যে নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যেই দলের জ্যেষ্ঠা নেত্রী, প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তাঁদের দল আওয়ামী লীগের জোটশরিক হয়ে নির্বাচনে লড়বে। মহাসচিব পাল্টা চিঠি দিয়ে জানান, তাঁদের চেয়ারম্যান এবং এরশাদের ভাই জি এম কাদেরের সই ও চিঠি ছাড়া নির্বাচন কমিশন যেন কাউকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা না-করেন। এই নিয়ে দলের মধ্যে হইচই শুরু হয়েছে। রওশনের চিঠি নিয়ে মহাসচিব বলেন, “তিনি আমাদের পৃষ্ঠপোষক। শ্রদ্ধেয় জন। বিষয়টা না বুঝেই হয়তো চিঠি লিখেছেন। আমরা এত গুরুত্ব দিচ্ছি না।” তাঁর দাবি, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধই আছে। দল নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতি করে। তাঁরা চেয়েছিলেন, সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। উৎসবের মেজাজে বাংলাদেশে ভোট হবে।
আওয়ামী লীগের দফতরে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতা-কর্মীদের জন্য মনোনয়ন ফর্ম বিক্রির আজ ছিল তৃতীয় দিন। এ দিন গত দু’দিনের তুলনায় কিছু কম, ৭৩৩টি ফর্ম বিক্রি হয়। এ নিয়ে তিন দিনে ৩০১৯টি ফর্ম বিক্রি করে দলের তহবিলে ১৫ কোটি ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা পড়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। এ বারে অনলাইনেও ফর্ম বিক্রি ও জমা দেওয়ার সুবিধা আছে। এ দিন ২৪ জন অনলাইনে ফর্ম সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy