ছবি: সংগৃহীত
ভারতের নানা জায়গায় বেআইনি ভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা দিল্লির কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে ঢাকা। রবিবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ খবর জানিয়ে বলেছেন, দিল্লি তালিকা দিলে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। পুশব্যাক করার কোনও প্রয়োজন পড়বে না।
মোমেন বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরে ভারত থেকেও বহু লোক দালালদের টাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, আমাদের নাগরিক নয় এমন কেউ ধরা পড়লে
তাঁদের বার করে দেব।’’ তিনি জানান, জীবিকার সন্ধানে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক বেআইনি ভাবে ভারতে গিয়ে থাকতে পারেন। এমন বাংলাদেশিদের তালিকা দেওয়ার জন্য তাঁরা ভারত সরকারকে বলেছেন। সেই তালিকা পেলে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘নিজের দেশে আসতে চাইলে তো তাঁদের আটকানো যায় না! সরকার তাঁদের ফিরিয়ে নেবে। পুশব্যাক করার দরকার পড়বে না।’’
কেন তিনি দিল্লি সফর বাতিল করেছেন, সে প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন— দেশে ব্যস্ত কর্মসূচি থাকার কারণেই তিনি দিল্লি যেতে পারলেন না। পরে যাবেন।
দু’দেশের সম্পর্কে তাঁর সফর বাতিলের ছায়া পড়বে না বলেই তিনি দাবি করেন। মোমেন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক এবং মধুর। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা নাগরিকত্ব আইনের মতো বিষয়গুলি ভারতের ঘরোয়া বিষয়। সম্পর্কে তার কোনও প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন না। সে সব নিয়ে বাংলাদেশের কিছু বলারও থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরেই দিল্লি সফর বাতিল করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। ইন্ডিয়া ওশেনিয়া বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল মোমেনের। শেষ মুহূর্তে তিনি সে সফর বাতিল করেন। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শিলংয়ে যাওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। তিনিও সেই সফর পিছিয়ে দেন। কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা, নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করা নিয়ে অসন্তোষের বার্তা দিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই মন্ত্রীর সফর বাতিলের নির্দেশ দেন। যদিও ঢাকা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy