শক্তিমান: নতুন কেনা সুখোই এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ার হাইমিম সামরিক ঘাঁটিতে। ছবি: এএফপি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ সম্ভবত নতুন করে রাসায়নিক হামলা চালিয়ে গণহত্যার পরিকল্পনা করছেন বলে দাবি করল হোয়াইট হাউস। সিরীয় প্রেসিডেন্টকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, সত্যিই যদি তেমন কিছু হয়, তা হলে সিরিয়াকে বড় মূল্য দিতে হবে।
গত ৪ এপ্রিল সিরিয়ার খান শায়খুন শহরে আসাদের অনুগত বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মৃত্যু হয় ৮৭ জনের। ওই শহরটিকে মূলত আসাদ-বিরোধীদের ঘাঁটি বলেই মনে করা হতো। এই ঘটনার পরেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ৫৯টি টোমা হক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সিরিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় আমেরিকা। ওই বিমানঘাঁটি থেকেই খান শায়খুনে হামলা চালানো হয়েছিল বলে আমেরিকার অভিযোগ। এই পাল্টা হানা নিয়ে আবার উত্তেজনা বেড়েছিল আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে।
গত কাল হোয়াইট হাউসের মিডিয়াসচিব শন স্পাইসার বলেন, ‘‘আমেরিকা জানতে পেরেছে, আসাদ প্রশাসন সম্ভবত আরও একটা রাসায়নিক হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। এতে শিশু-সহ বহু নিরপরাধ মানুষ মারা যাবেন। এপ্রিলের হামলার আগে যে রকম প্রস্তুতি চলেছিল, এ বারও সে রকম তোড়জোড় হচ্ছে।’’ যদিও ঠিক কোন প্রমাণের ভিত্তিতে আমেরিকা এই দাবি করছে, তা খোলসা করেননি স্পাইসার।
আরও পড়ুন: আলিঙ্গনে নেই ভিসা বা ব্যবসা
একটি মার্কিন সংবাদপত্রের দাবি, আমেরিকা যখন এই ধরনের হুঁশিয়ারি দেয়, তখন সচরাচর তাতে বিদেশ মন্ত্রকের একটা ভূমিকা থাকে। কিন্তু স্পাইসারের আচমকা ঘোষণায় ওই মন্ত্রকের কর্তারা কিছুটা অবাক হয়েই গিয়েছিলেন বলে দৈনিকটির বক্তব্য। স্পাইসার বলেছেন, ‘‘ইসলামিক স্টেটকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী রয়েছে। ফের যদি রাসায়নিক হামলা হয়, আসাদ ও তাঁর সেনাবাহিনীকে তার বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে।’’
রাশিয়ার মদতপুষ্ট আসাদ বরাবরই রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। বলেছেন, রাশিয়ার মধ্যস্থতাতেই ২০১৩ সালে যাবতীয় রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে সিরিয়া। কিন্তু মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিস সম্প্রতি দাবি করেন, কিছু রাসায়নিক অস্ত্র বাঁচিয়ে রেখে দিয়েছে আসাদ বাহিনী। ইজরায়েলের একটি সমীক্ষাও একই কথা বলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy