Advertisement
০২ মে ২০২৪
PM Narendra Modi

ভুটান থেকেও কি ভোট-বার্তা মোদীর

গত কালই দিল্লিতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদী। ভুটানে ২০২৪ সালের ভোটে জেতার ঠিক পরেই ভারত এলেন শেরিং।

An Image Of PM Narendra Modi

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ০৬:৫২
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেশের বাইরের শেষ গন্তব্য হতে চলেছে ভুটান। এখনও পর্যন্ত স্থির আছে আগামী ২১ মার্চ দু’দিনের সফরে সে দেশে যাবেন মোদী।

প্রধানমন্ত্রী যখন ভুটান যাবেন, তখন দেশে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। ফলে নির্বাচনী আচরণবিধিও জারি হয়ে যাবে। কিন্তু বিদেশের মাটি থেকে ভুটান সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চল উত্তরবঙ্গের জন্য কোনও বার্তা তিনি দেন কি না সেটাও দেখার বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

গত কালই দিল্লিতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মোদী। ভুটানে ২০২৪ সালের ভোটে জেতার ঠিক পরেই ভারত এলেন শেরিং। পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, শক্তি ও জ্বালানি, জলবিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। ভারত এবং ভুটানের অনন্য অংশীদারিকে আরও নিবিড় করার কথাও বলেছেন দুই নেতা।ভুটানের উন্নয়নের প্রশ্নে ভারতকে এক ‘বিশ্বস্ত সহযোগী’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী তোবগে। ভুটানের রাজার পক্ষ থেকে তিনি ওই দেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণ জানান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পরে, মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে বলেছেন, “পরের সপ্তাহে ভুটান সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মহামান্য ভুটানের রাজা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।"

এই সফরগুলি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ দীর্ঘদিন বাদে ভারতের মিত্র সে দেশে ক্ষমতায় এসেছেন। রাজনৈতিক সূত্রের ‘বার্তা’ ছিল, মলদ্বীপের পরে এ বার ভুটানের ভোটেও নাক গলাবে চিন। ভারতের ‘বন্ধুদের’ হারানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু ভুটানের জাতীয় আইনসভা ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র ভোটে ‘ভারতের বন্ধু’ বলে পরিচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের দল পিডিপি-ই জিতে এসেছে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের দল ‘ড্রুক নয়ামরুপ সোগপা’ (ডিএনটি)-র জমানায় চিন এবং ভুটান সীমান্ত চুক্তির প্রক্রিয়া এগিয়েছিল। ওই চুক্তি সম্পন্ন হলে শুধু ডোকলামই নয়, ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন অঞ্চলে বেজিং কৌশলগত ঘাঁটি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা সাউথ ব্লকের। শেরিং যাতে এই চুক্তি ভারতের স্বার্থে বিলম্বিত করেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সফরে সব রকম চেষ্টা হবে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE