ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
বহু পুরনো ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন বিবাদই হোক কিংবা হালের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ— নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান ভারত কোনও জটিল পরিস্থিতিতেই নিজের স্পষ্ট অবস্থান নিতে দ্বিধা করে না বলে আজ মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। তাঁর দাবি, সেই কারণেই বিশ্ব আজ ভারতকে অন্য চোখে দেখতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা ‘মোদী: শেপিং আ গ্লোবাল অর্ডার ইন ফ্লাক্স’ নামে একটি বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানে আজ ভারতের বিদেশনীতি প্রসঙ্গে নড্ডা বলেন, ‘‘আজকের দিনে কোনও আন্তর্জাতিক জটিল পরিস্থিতি নিয়ে দৃঢ় অবস্থান নিতে ভয় পায় না ভারত। অথচ অতীতে একটি দীর্ঘ সময়ধরে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চেনিজের অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে দৃঢ়তা দেখাতে পারত না। কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আজ নিজের জোরে কঠোর অবস্থাননিতে পারছে।’’
এর পরেই ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন প্রসঙ্গ টেনে এনে নড্ডা বলেন, ‘‘অতীতে ভারতের শাসকেরা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণে ইজ়রায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতেন না।কারণ তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয় ছিল।’’ নড্ডার দাবি, সেইছবিটি পাল্টে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি ইজ়রায়েলে যেমন গিয়েছেন, তেমন প্যালেস্তাইন সফরও করে এসেছেন।
কংগ্রেস সূত্রের পাল্টা বক্তব্য, নড্ডার ওই দাবি ভিত্তিহীন। বিজেপির সভাপতির আসলে ভারতের বিদেশনীতির ধারাবাহিকতা নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। অথবা তিনি ইচ্ছে করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কারণ ইউপিএ সরকারের আমলে ইজ়রায়েলের পাশাপাশি প্যালেস্তাইনের সঙ্গেও ভারতের সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় একই সঙ্গে ছ’দিনের সফরে ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইন গিয়েছিলেন। তার আগে কোনও ভারতীয় নেতাই ওই দুই দেশের সফর একসঙ্গে করেননি।
আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তাতে ভারতের অবস্থান নিয়েও সরব হন নড্ডা। বলেন, ‘‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে, তা এ দেশের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে ওঠার আদর্শ উদাহরণ। দু’দেশের যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থান অনেক দেশের অপছন্দ হলেও, চাপের মুখে পড়ে ভারত তা পাল্টায়নি।’’
নড্ডার দাবি, মোদী এক কঠিন সময়ে ভারতের হাল ধরেছিলেন। তিনি দায়িত্ব পেয়ে বিদেশনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে নীতি নিয়েছেন, তা আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ইতিবাচক ছবি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy