ডেভিড ক্যামেরন
শেষ মুহূর্তের বেপরোয়া চেষ্টা। স্কটল্যান্ডকে ব্রিটেনে রাখার জন্য ব্রিটেনের তিন দলের নেতার ঘোষণাকে এ ভাবেই দেখছে স্কট তথা ব্রিটিশ জনমতের বড় অংশ। আজ স্কটল্যান্ডের হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, উপ প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা নিক ক্লেগ ও লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড। দু’দিন পরে ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নে ভোট দেবেন স্কটরা।
আজ স্কটল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রে একটি প্রতিশ্রুতিপত্র প্রকাশ করেছেন ক্যামেরন, ক্লেগ ও মিলিব্যান্ড। জানানো হয়েছে, স্কটিশ পার্লামেন্টের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে। কখন কী ভাবে তা দেওয়া হবে তা কনজারভেটিভ, লেবার ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা আলোচনা করে স্থির করবেন। ঘোষণাপত্রে তিন নেতা জানিয়েছেন, ব্রিটেনের সম্পদ বণ্টনে সমতা থাকা উচিত।
এ কথা বলতে লন্ডনের নেতাদের এত দিন সময় লাগাটাই স্কটদের প্রতি অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্কট স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতারা। আবার ব্রিটেনে থাকার পক্ষে আন্দোলনকারীদের মতে, এটি এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। এই ঘোষণাকে ঘিরেই স্কটল্যান্ড ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। গতকালই আবেগের অস্ত্রে স্কটদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন ক্যামেরন। ব্রিটেন থেকে স্কটল্যান্ডের বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া ‘বেদনাদায়ক’ হবে বলে স্কটদের মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ক্যামেরনের কথায়, “ব্রিটেন একটি পরিবার। ব্রিটেনকে ওয়াল্টার স্কটের মতো কবি, পেনিসিলিনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, জে কে রোওলিংয়ের মতো লেখক ও অ্যান্ডি মারের মতো টেনিস খেলোয়াড় দিয়েছে স্কটল্যান্ডই।”
অতীতকে ফিরিয়ে এনে আবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও। তিনি বলেছেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটিশ সেনারা আহত হলে কেউ প্রশ্ন করেননি তাঁরা স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড না ওয়েলসের বাসিন্দা। এই লড়াইয়ে শহিদ ব্রিটিশ সেনারা এক সঙ্গেই বিশ্বের নানা প্রান্তে শেষ শয্যায় শুয়ে রয়েছেন।”
প্রথা ভেঙে স্কটদের ব্রিটেনে থাকার পক্ষে অনুরোধ করতে রানি এলিজাবেথকে চাপ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ এমপি-দের একাংশ। তাতে কান দেয়নি বাকিংহাম প্যালেস। তবে ‘খুব ভাল ভাবে’ ভেবে ভোট দিতে বলেছেন রানি। স্কটরা কী ভাবছেন? উত্তর পেতে আর একটু সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy