বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জে মানবিক সহায়তার কারণে গাজ়া ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল তার পক্ষে ১২০টি সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিলেও বিরত ছিল ভারত। হামাসের সন্ত্রাসের কড়া নিন্দা করে পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। কারণ ভারত ভুক্তভোগী।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ক্রমশ এই ‘একপেশে’ অবস্থান থেকে সূক্ষ্ম ভাবে ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন প্রশ্নে ভারসাম্যের পথে এসেছে নয়াদিল্লি। বিশেষত লোকসভা ভোট কড়া নাড়ার ফলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সুরে মুসলিম রাষ্ট্র প্যালেস্টাইনের পরিস্থিতি নিয়ে আরও বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের চলতি মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে এ বার ভারত প্যালেস্টাইনে বিপুল সংখ্যক নিরীহ মানুষের মৃত্যু নিয়ে স্বর তুলল। একই সঙ্গে সাউথ ব্লকের দাবি, সে দেশে খাদ্য, ওষুধ, ত্রাণ পাঠাতে অবিলম্বে মানবিক করিডর তৈরি করা হোক।
রাষ্ট্রপুঞ্জের জেনিভা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী বলেন, “ভারত প্যালেস্টাইনের মানুষকে সহায়তা করবে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নমূলক অংশীদারির মাধ্যমে। সেই সঙ্গে মানবিক সমর্থনও চালিয়ে যাবে।” পরিষদের বৈঠকে বাগচী বলেন, “প্যালেস্টাইন পরিস্থিতি ক্রমশ গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। বিপুল সংখ্যক নিরীহ নাগরিক, বিশেষত নারী ও শিশুর প্রাণ যাচ্ছে। এটি মারাত্মক মানবিক সঙ্কট। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা জোরালো ভাবে নাগরিকদের হত্যার ঘটনার নিন্দা করছি।” একই সঙ্গে দেশের পুরনো অবস্থানের প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেন, “প্যালেস্টাইন সঙ্কটে দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানকে ভারত সমর্থন করে। আর কোনও উপায় নেই। এই সমাধানের পথে যা যা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এখনই তার মোকাবিলা করা প্রয়োজন, নয়তো জট ছাড়বে না।”
একই সঙ্গে হামাসের নিন্দা করে বাগচীর বক্তব্য, “ভারত সর্বদাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। যাঁদের অপহরণ করা হয়েছে তাঁদের ছেড়ে দেওয়াটা অত্যাবশ্যক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy