ছবি: সংগৃহীত।
জিপিএস পরিষেবা, তবে একেবারে চিনা প্রযুক্তির। আমেরিকা, রাশিয়া বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এ বার এক সারিতে বসল চিনের বেইদৌ-৩ নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম। শুক্রবার চিনা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিশ্বকেই এই পরিষেবা দিতে প্রস্তুত এটি।
গত শতকের নয়ের দশক থেকেই এই স্যাটেলাইট সিস্টেমে তৈরির কাজ শুরু করে চিন। এ দিন এর শুভ সূচনা করা হলেও ইতিমধ্যেই তা ব্যবহার করছে পাকিস্তান-সহ বিশ্বের একশোটিরও বেশি দেশ। এ দিন বেইদৌ-৩-কে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমোদন দেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। চিন সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, নয়ের দশক থেকে চিনের ৪০০টিরও বেশি ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থার ৩ লক্ষেরও বেশি গবেষক, বিজ্ঞানী এই নেভিগেশন সিস্টেম তৈরির কাজে জড়িত ছিলেন। মূলত জিপিএস পরিষেবার জন্য বিদেশি সাহায্যের দিকে হাত না বাড়িয়ে দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তা গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল। চিনা ভাষায় বিগ ডিপার নক্ষত্রমণ্ডলের নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে। গ্লোবাল টাইমস আরও জানিয়েছে, গত বছরের শেষে চিনের মূল ভূখণ্ডের ৬৫ লক্ষ গাড়ি, ৪০ হাজার ডাক এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি পরিষেবা, ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ৮০ হাজার বাস, ৩ হাজার ২০০ ইনল্যান্ড নেভিগেশন সিস্টেম এবং ২ হাজার ৯০০ মেরিন নেভিগেশন সিস্টেমে বেইদৌ-র এই পরিষেবা ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে।
তবে কি এ বার জিপিএস পরিষেবাতেও আমেরিকা বা রাশিয়াকে টক্কর দেবে চিন? বিশেষজ্ঞরা তেমনটা মনে করছেন না। ব্রিটেনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউ ফর ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর রিসার্চ অ্যানালিস্ট আলেক্সান্ড্রা স্টিকিংস বলেন, “আমেরিকার জিপিএস বা রাশিয়ার নেভিগেশন সিস্টেম গ্যালিলিওর থেকে চিনের সিস্টেমটির সিগনাল ভাল নয়।”
আরও পড়ুন: করোনাকে রুখবে তাঁদের তৈরি টিকা, অপেক্ষায় ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষক
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট ভোট পিছনোর প্রস্তাব ট্রাম্পের, জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়াই কি আসল কারণ?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy