সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশ্নে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল চিন। ৩ সেপ্টেম্বর চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়ামেনে বসতে চলেছে ব্রিকস সম্মেলন। যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই বৃহস্পতিবার চিন জানিয়েছে, ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার ‘উপযুক্ত জায়গা’ নয়। যে বিষয়টি নিয়ে ভারতের মতো দেশ সব সময় উদ্বেগের মধ্যে থাকে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ না করলে চুপ করে থাকবে না ওয়াশিংটন। কিন্তু চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব সময় সামনের সারিতে থেকেছে পাকিস্তান। এর জন্য পাকিস্তান বহু ত্যাগ স্বীকারও করেছে।’’ আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান ও অন্য দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে চায়। এটাও খেয়াল করেছি, পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করছে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। কিন্তু ব্রিকসের সম্মেলন সে আলোচনার জন্য উপযুক্ত নয়।’’ এর আগে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জইশ ই মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছে বেজিং। এ বার ঠিক ব্রিকস সম্মেলনের মুখে চিনের এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকসের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল চিন। কিন্তু অন্য সদস্য দেশগুলির আপত্তিতে এই পরিকল্পনা থেকে আপাতত সরে আসতে বাধ্য হয়েছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বুধবার বলেন, ‘‘ব্রিকস প্লাস পরিকল্পনার সুফল সম্পর্কে অন্য সদস্য দেশগুলিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে বেজিং।’’ চিনের এই পরিকল্পনার কথা সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি পাকিস্তানকে ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে বেজিং? তবে এ বার ব্রিকসের সম্মেলনে তাইল্যান্ড, মিশর, তাজিকিস্তান, মেক্সিকোকে আমন্ত্রণ জানালেও পাকিস্তানকে ডাকেনি চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy