হাও ও লাই। ছবি: ইউটিউব
হাও এবং লাই জি। চিনের বাসিন্দা। পেশায় হাও একজন ট্রেন চালক এবং লাই জি অপর একটি ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট। তবে এই সব ছাড়াও নিজেদের আরও একটি পরিচয় দিতে ভালবাসেন তাঁরা। হাও এবং লাই একে অপরকে ভালবাসেন নিজেদের সবটুকু দিয়ে। কিন্তু নিজেদের কাজে দু’জনেই এত ব্যস্ত থাকেন যে, দু’জনের দেখা হওয়ার সময় সারা দিনে মাত্র দু’মিনিট। তাও বেশ কয়েক মাস অন্তর। হ্যাঁ, মাত্র ওই দু’মিনিটই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তাঁরা।
সম্প্রতি এই যুগলের এমন আবেগঘন ভালবাসার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি সংবাদ সংস্থা প্রকাশ করেছে এই যুগলের দেখা করা ও কথা বলার ওই দু’মিনিটের ভিডিয়ো। ওই ভিডিয়োতে দেখানো হয়েছে সুযোগ পেলেই কী ভাবে দু’মিনিট সময় বের করে নেন হাও এবং লাই।
সেই দু’মিনিট যেন কিছুতেই হাতছাড়া না হয়, তাই এই ভ্যালেন্টাইনের মাসে প্রেমিক হাও প্রেমিকা লাইয়ের জন্য স্টেশনে এসে পড়েন ঘণ্টাখানেক সময় হাতে নিয়ে। অপেক্ষা করতে থাকেন লাউঞ্জে। লাইয়ের ট্রেনটি এলেই যাত্রীদের ওঠা-নামা করবার সময়ে, ওই ট্রেনে উঠে যান হাও। লাইয়ের হাতে পৌঁছে দেন খাবার। একে অন্যকে আলিঙ্গন করেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে লাই হাওকে বলছেন, ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার সময় হয়ে গেল। কিন্তু হাওয়ের মন যেন চাইছে না ট্রেন থেকে নেমে আসতে নেমে আসতে। আরও কিছু সেকেন্ড প্রেমিকার সঙ্গে থেকে যাওয়ার চেষ্টা। মন যেন চাইছে না লাইয়েরও। কিন্তু নিরুপায়।
আরও পড়ুন: আজ বাংলা ভাষার উদ্যাপন করাচিতেও
ওই ভিডিয়োতেই হাও জানিয়েছেন যে, তিনি অনেকদিন ধরেই ভাবছেন লাইকে তাঁর মনের কথা জানানোর জন্য। কিন্তু প্রেমিকাকে এখনও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তার কারণ ওই দু’মিনিটে প্রতিবারেই ‘বলব বলব’ করে আসল কথাটাই বলা হয়ে ওঠে না আর। তবে ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে লাইয়ের কাছে একটি আংটি উপহার দিয়েছেন হাও। হাওয়ের ছলছল চোখ অনেক কথাই বলে দিচ্ছে যেন তখন।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা ‘ভয়ঙ্কর’, বললেন ট্রাম্প
হাও এবং লাইয়ের এই প্রেমের রূপকথা চিনের সোশ্যাল মিডিয়া উইবোতে ছড়িয়ে পড়েছে। তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় এটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy