—ফাইল চিত্র।
শহরের আবহাওয়া আজ ভাল। সকাল থেকে কিছুটা রোদের মুখও দেখেছে শহর। তাপমাত্রা সকালের দিকে ৬-৭ ডিগ্রির মতো। তবে হিমেল হাওয়া ঝাপটা মারছে। কিন্তু তাতে কী?
শাড়ি-শাল, মাফলার-মোজা আর হাওয়াই চটিতে হাঁটা শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হোটেল থেকে সকালে বেরিয়ে এক বার হাইড পার্কের দোরগোড়া পর্যন্ত। তার পর এক কাপ চা খেয়ে ফের হণ্টন! হোটেল থেকে চেলসা ব্রিজ হয়ে ভক্সহল ব্রিজ পর্যন্ত। আসা যাওয়া সব মিলিয়ে দু’দফায় ১০ কিলোমিটারের কম নয়। রবিবার ছুটির দিন কেজো লোকদের ভিড় নেই। চলার পথে ঝরে পড়ছে মেপ্ল পাতা। মমতা চলতে চলতে আগের বারের মতোই বলতে লাগলেন, ‘‘কলকাতায় লোক বেশি। জায়গা কম। চেষ্টা করেও অনেক কিছু হয়তো করা যায় না। তবু লন্ডনের রাস্তার চেয়ে আমাদের শহরের অনেক বেড়ানোর জায়গা আজ কম দর্শনীয় নয়।’’ আজই সন্ধ্যায় উইম্বলডনে ভগিনী নিবেদিতার বসতবাড়ির অনুষ্ঠান। সেখানে ‘ইংলিশ হেরিটেজে’র উদ্যোগে লাগানো হল নীল ফলক (ব্লু প্লাক)। সেই অনুষ্ঠানে যোগদান মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের সফরের অন্যতম কর্মসূচি।
আগামী কাল ইউকে বাণিজ্য কাউন্সিলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মমতা। গত বারেও করেছিলেন। লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ানো। আজই সকালে লন্ডন পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী অমিত মিত্রও। আছেন মুখ্যসচিব মলয় দে। বৈঠকে রাজ্য থেকে আসা একাধিক উদ্যোগপতি হাজির থাকবেন। সেই বৈঠকের পরে কালই লন্ডন নিবাসী শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ইস্পাত শিল্পে বিনিয়োগ ছাড়াও অন্য বিভিন্ন বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি মিত্তলের সঙ্গে কথা বলতে চান। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের এই প্রাক্তনী কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কয়েক মাস আগে যখন কলকাতায় গিয়েছিলেন, তখনই মমতা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। আগামিকালের বৈঠকে বিষয়টি আর একটু দানা বাঁধতে পারে বলে অনেকের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy