শাকিব আল হাসান এবং ফেরদৌস। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট জীবনের প্রান্তে এসে রাজনীতিতে পা রাখলেন শাকিব আল হাসান। মাগুরার ২টি এবং ঢাকার একটি আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে তিনি মনোনয়ন ফর্ম কিনে বাংলাদেশের শাসক আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন। রবিবার দুপুরে দলটি মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পরে দেখা যাচ্ছে, আগামী ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে শাকিবকে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার মাশরফি বিন মোর্তাজা ২০১৮-র
নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। এ বারেও দল তাঁকে প্রার্থী করেছে। পাশাপাশি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌসকে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে।
রবিবার প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় ৩০০টির মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করায় তাদের শরিক দল জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ফাঁপরে পড়েছে। আওয়ামী লীগ গত তিনটি নির্বাচন শরিকদের নিয়ে জোট গড়ে লড়েছে। এ বারে সব আসনে একতরফা প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শরিকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। যে সব আসন তাদের ছাড়া হবে, সেখানে আওয়ামী প্রার্থীরা সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির এক কেন্দ্রীয় নেতার সাফ কথা— আওয়ামী নেতৃত্বের এই আশ্বাসে তাঁদের কর্মীরা আস্থা রাখতে অপারগ। তবে যে ২টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি, তার একটি কুষ্টিয়া-২। জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু সেখান থেকে নির্বাচিত হন। ইনু এ দিনই এই আসনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। কিন্তু ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গত বার যে ঢাকা-৮ আসনে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন, সেখানে এ বার নিজেদের বর্ষীয়ান নেতা বাহাউদ্দিন নাসিমকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।
গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে সপ্তম বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক-সহ মন্ত্রিসভার সব পূর্ণমন্ত্রী আগের আসনেই প্রার্থী হচ্ছেন। তবে বাদ গিয়েছেন তিন জন প্রতিমন্ত্রী ও ৬৯ জন সাংসদ।
তাদের জায়গায় নতুন মুখ আনা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে ‘সেন সাম্রাজ্য’-এর অবসান হল সুনামগঞ্জ-২ আসনে। পাকিস্তান আমলে ১৯৭০-এর ভোটে এখানে প্রথম জয়ী হয়েছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ২০১৭-তিনি মারা যাওয়ার পরে আওয়ামী লীগ তাঁর স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তকে প্রার্থী করেছিল। ২০১৮-র নির্বাচনেও জয়াই প্রার্থী হন। কিন্তু এ বারে বয়সের কারণে তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে। আবার কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার পুলিশি তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দকে। মুক্তিযোদ্ধা আকন্দ শেখ হাসিনার উপরে ২০০৪-এর ২১ অগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলারও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
তবে এ বার এক ঝাঁক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রার্থী হতে চেয়ে মনোনয়ন ফর্ম কিনেছিলেন। তাঁদের কাউকেই প্রার্থী করা হয়নি। প্রার্থী হওয়ার আবেদন করে ব্যর্থ মনোরথ হয়েছেন দুই নামী অভিনেত্রী শমী কায়সার এবং মাহিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy