Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
COVID 19

Bangladesh: মৃত্যু কীসে, করোনায় না ফাঁসিকাঠে?

কী ভাবে সে করোনা আক্রান্ত হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ জেলের সেলে একাই থাকত সে।

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২১ ০১:৫৬
Share: Save:

আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছে। কিন্তু সাজা কার্যকর হওয়ার আগে জেলের ভিতরে করোনায় আক্রান্ত হল বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-র প্রাক্তন ডিজি আব্দুর রহিম। ২১ অগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আব্দুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামি। ওই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেও সে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। জেলের ভিতর আলাদা সেলে থাকত আব্দুর। তা সত্ত্বেও কী ভাবে সে করোনা-আক্রান্ত হল, তা ভাবাচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষকে।

বাংলাদেশের গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় জেলে ছিল আব্দুর। ওই জেলের সুপার আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, গত ২৬ জুলাই প্রথম আব্দুরের শরীরে করোনার সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তার র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। তখনই ধরা পড়ে সে করোনা আক্রান্ত। এর পর কাশিমপুর কারা হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৩১ জুলাই তাকে শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং পরে সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত আব্দুর কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি। তার চিকিৎসা চলছে। তবে কী ভাবে করোনা আক্রান্ত হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ, ওই সেলে একাই থাকত সে।

২০০৪-এ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে মুখ্য ভূমিকা ছিল এই আব্দুরের। ওই বছরের ২১ অগস্ট আওয়ামি লিগের সভায় পর পর ১৩টি গ্রেনেড হামলা হয়। তাতে মৃত্যু হয় ২৪ জনের। শেখ হাসিনা-সহ আহত হন ৩০০ জন। সেই মামলায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী-সহ মোট ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তাদের মধ্যে আব্দুরও ছিল। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেও অভিযুক্ত ছিল আব্দুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus COVID 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE