Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Brazil Disaster

রেকর্ড ভাঙা একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ব্রাজ়িল, মৃত্যু বেড়ে ৫৭

বন্যায় হাবুডুবু ব্রাজ়িলের দক্ষিণতম রাজ্য রিয়ো গ্রান্দে দো সুল। পরিস্থিতি এমনই যে, ১৯৪১ সালের ভয়ঙ্কর বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এ বারের বিপর্যয়।

ব্রাজ়িলে উদ্ধার করা হচ্ছে এক বন্যাদুর্গত মহিলাকে।

ব্রাজ়িলে উদ্ধার করা হচ্ছে এক বন্যাদুর্গত মহিলাকে। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
রিয়ো ডি জেনিরো শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৪ ০৫:০২
Share: Save:

টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে ভেঙে গেল আট দশকের রেকর্ড। বন্যায় হাবুডুবু ব্রাজ়িলের দক্ষিণতম রাজ্য রিয়ো গ্রান্দে দো সুল। পরিস্থিতি এমনই যে, ১৯৪১ সালের ভয়ঙ্কর বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এ বারের বিপর্যয়। রিয়ো গ্রান্দে দো সুল ছাড়াও দক্ষিণাংশের কয়েকটি শহরে জলস্তর ১৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে শুক্রবার জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ব্রাজ়িলের দক্ষিণতম এই শহরটির ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই সেখানে মাঝেমধ্যেই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যায়। কখনও প্রবল বৃষ্টি, আবার কখনও প্রবল খরার কবলে পড়ে এই অংশ। বিজ্ঞানীদের মতে, এ সবের পাশাপাশি বিশ্ব উষ্ণায়নেরও প্রবল প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সেখানে। তাই আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট জলের নীচে তলিয়ে গিয়েছে। ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক সড়ক ও সেতু। পাশাপাশি ভূমিধসও নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু এলাকা। টাকুয়ারি নদী উপত্যকার সংলগ্ন শহর— লাজেডো এবং এস্ট্রেলা, সম্পূর্ণ ভাবে জলের তলায় চলে গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ, জল, ইন্টারনেট, টেলিফোন পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

রিয়ো গ্রান্দে দো সুল-এর নাগরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরের ৬৮ জন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ এবং কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের ৪৯৭টি শহরে অর্ধেকেরও বেশি অংশ ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সান্তা মারিয়া নদীর জল। ভেসে গিয়েছে নদীর ওপরে থাকা সেতুটিও। রাজধানী পোর্তো অ্যালেগ্রির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গুয়াইবা নদীর তীরেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে বলেছেন, ‘‘আগামী কয়েক দিনে আমরা অন্যান্য এলাকায় পৌঁছতে সক্ষম হব। তখন মৃতের সংখ্যা বাড়তেও পারে।’’ প্রবল বৃষ্টি এবং জলস্তর বাড়ায় বৃহস্পতিবার একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বাঁধ আংশিক ভাবে ধসে পড়ে। অন্য একটি জলাধারের অবস্থাও খারাপ হওয়ায় বিপদের আশঙ্কায় জলাধারের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকেদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE