ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। -ফাইল ছবি।
চেয়েছিলেন ৯০ দিন। জুটল মাত্র ১৪।
৩০ জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-কে চিঠি লিখেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। দীর্ঘ বৈঠকের পরে টেরেসাকে জানানো হয়, সময়সীমা এত বাড়ানো সম্ভব নয়। ১২ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে তৃতীয় ও শেষ বারের জন্য তাঁর চুক্তি পার্লামেন্টে পেশ করুন মে। যদি সেই চুক্তি পাশ হয়ে যায়, তখন ২২ মে পর্যন্ত ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রিটেনকে সময় দেওয়া হবে। আর টেরেসার চুক্তি যদি পাশ না হয়, তা হলে ১২ মে-র মধ্যে ইইউ-কে জানাতে হবে, এ বার ব্রিটেন কোন পথে হাঁটার কথা ভাবছে।
গত কাল ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট নিয়ে শীর্ষবৈঠক শুরু হয়েছে। ইইউ-এ মুখপাত্র ঘোষণা করেন, ‘‘২৯ মার্চ নয়, ব্রেক্সিটের নতুন তারিখ ১২ মে।’’ এই ২৯ মার্চই ব্রেক্সিট হওয়ার কথা ঠিক ছিল। পরে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ‘‘এই দু’সপ্তাহে অনেক কিছু ঘটতে পারে। সব দল মেনে নিচ্ছে, এমন একটা চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারে, সময়সীমা আরও বাড়ানো যেতে পারে, এমনকি, ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদটি কার্যকর না-করাও যেতে পারে।’’ তিন বছর আগে লিসবন চুক্তির এই ৫০ নম্বর ধারা কার্যকর করেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ব্রিটেন। ইইউ কাউন্সিল আগেও বলেছে, ব্রিটেন শেষ পর্যন্ত ইইউ-এ থাকবে, না বেরিয়ে যাবে, তা সম্পূর্ণ ব্রিটেনেরই সিদ্ধান্ত। ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করে একটি ইন্টারনেট প্রচারে গত ২৪ ঘণ্টায় সই করেছেন ৩০ লক্ষেরও বেশি ব্রিটিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy