দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, ঘুষ নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে আগেই জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হে-র বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে চার্জ গঠন করল আদালত।
আদালত জানিয়েছে, এর পরেই সোল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে শুনানি হবে এই মামলার। তিন বিচারপতির প্যানেল গঠন করে বিচার শুরু হবে পার্কের। দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে ৬৫ বছরের পার্কের। এর আগে দেশে সেনা অভ্যুত্থান ঘটানোর অভিযোগে ১৯৯৬ সালে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন সামরিক শাসক চুন দু-হোয়াংকে। যদিও পরে খারিজ হয়ে যায় সেই রায়। সেই ঘটনার পর এটাই দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিচার-প্রক্রিয়া।
২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে। অভিযোগ, ব্যবসায় সুবিধা পাওয়ার জন্য তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন সিলকে ঘুষ দিয়েছিলেন স্যামসাং গোষ্ঠীর কর্ণধার জে ওয়াই লি। এবং সেই ঘুষ কাণ্ডে জড়িত ছিলেন পার্কও। এর জন্য গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যেতে হয় পার্ককে। পার্কের বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে এই আশঙ্কায় আনুষ্ঠানিক ভাবে চার্জ গঠনের আগেই এই মাসের গোড়ায় তাঁকে জেলে ভরা হয়েছিল। বর্তমানে দেশে কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন হোয়াং কিয়ো-আন। পরবর্তী নির্বাচন ৯ মে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy