Advertisement
১৭ মে ২০২৪
India-Maldives Conflict

ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর মুইজ্জুর গদি টালমাটাল, পড়শিকে নিয়ে আবার মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

আইআইএম মুম্বইতে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই মলদ্বীপের প্রসঙ্গ উঠেছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমের এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

External Affairs Minister S Jaishankar’s comment on row with Maldives

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২২
Share: Save:

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির মাঝে মলদ্বীপে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর গদি নড়ে গিয়েছে। ‘ইমপিচমেন্ট’ পদ্ধতিতে তাঁকে গদিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সে দেশের বিরোধীরা। ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে অনেকের স্বাক্ষরও। এই পরিস্থিতিতে মলদ্বীপ প্রসঙ্গে আবার মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আইআইএম মুম্বইতে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই মলদ্বীপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবেশীদের একে অন্যকে প্রয়োজন হয়। ভূগোল এবং ইতিহাস অত্যন্ত শক্তিশালী। এগুলিকে কখনও এড়ানো যায় না।’’

মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছু দিন আগে লক্ষদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর কিছু ছবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। যা নিয়ে ভারতের সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ‘বয়কট মলদ্বীপ’-এর ডাক দেন ভারতীয়েরা। অনেকে মলদ্বীপ ভ্রমণের টিকিট এবং বুকিংও বাতিল করে দেন। ফলে মলদ্বীপের পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মুইজ্জু বরাবরই চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পর তিনি চিন সফরও সেরে ফেলেছেন। তাদের মাটি থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে সেনা সরাতে বলেছেন মুইজ্জু।

এই পরিস্থিতিতে মলদ্বীপের অন্দরেই মুইজ্জুর শাসন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এবং এ প্রসঙ্গে মুইজ্জুর নীতি ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। বিরোধীরাও এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁকে সরানোর জন্য ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে খবর।

এর আগেও মলদ্বীপের সঙ্গে বিতর্কের আবহে মুখ খুলেছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাজনীতি আসলে রাজনীতিই। আমি কখনওই গ্যারান্টি দিতে পারব না যে, সব দেশে প্রতি দিন প্রত্যেক মানুষ আমাদের সমর্থন করবেন, বা আমাদের পাশে থাকবেন।’’ তবে তিনি জানান, গত ১০ বছর ধরে পৃথিবীর বাকি দেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে ভারত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE