দু’পক্ষের বৈঠকে ঠিক হল, ১৫ লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়ে যাওয়া হবে মালয়েশিয়ায়। দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও হল।
আর তার পরের দিনই মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি ঘোষণা করলেন, অন্য কোনও দেশ থেকে এখনই কর্মী আনা হবে না! এই ভাবেই ১৫ লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিকের ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল, মালয়েশিয়া সরকারের একটি ‘তুঘলকি ঘোষণা’য়।
মালয়েশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বারনামা’ জানাচ্ছে, শুক্রবারই দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি এই ঘোষণা করেছেন। হামিদি বলেছেন, ‘‘ঠিক কত জন বিদেশি শ্রমিক আমাদের প্রয়োজন, সে ব্যাপারে সন্তোষজনক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও দেশ থেকে কোনও কর্মী নিয়োগ হবে না মালয়েশিয়ায়। তা সেই শ্রমিক যতই দক্ষ হোন না কেন।’’
আরও পড়ুন- ঢাকার সোনালি ব্যাঙ্কে মেঝে খুঁড়ে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিতে মৃত ১
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে, বরাবরই বাংলাদেশের শ্রমিক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এখন প্রায় ছয় লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন মালয়েশিয়ায়।
দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সাল থেকে ‘জি-টু-জি’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশি শ্রমশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া। ওই সময় সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হয়েছিল শুধুই ‘প্ল্যান্টেশন’-এর জন্য। কিন্তু ‘প্ল্যান্টেশন’-এর কাজে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায়, সেই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। পরে অবশ্য মালয়েশিয়া সরকার শ্রমশক্তির জন্য বাংলাদেশকে ‘সোর্স কান্ট্রি’র তালিকায় আনলে চিকিৎসা পরিষেবা, উৎপাদন ও নির্মাণ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লক্ষ শ্রমিক নিতে আগ্রহী হয় মালয়েশিয়া সরকার। পাঁচটি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য। বুধবার ঢাকায় এ ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়। সেই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম বলেন, ‘‘পাঁচ বছরের ওই চুক্তির ফলে দু’দেশই উপকৃত হবে।’’
কিন্তু তার পরের দিনেই উল্টো সুর শোনা গেল মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy