নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ করে ভাঙা হচ্ছে সেতু। ছবি: রয়টার্স।
প্রায় ৫০ দিন আগে গত ২৬ মার্চ বল্টিমোরের ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মেরেছিল পণ্যবাহী জাহাজ এম ভি দালি। প্যাটাপস্কো নদীতে তাসের ঘরের মতো টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছিল সেতুটি। সেই ঘটনায় প্রথমে চিনা সাইবার হানার কথা বলা হলেও প্রাথমিক তদন্তে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে গোটা ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। জাহাজের ২১ জন নাবিকের মধ্যে ২০ জনই ভারতীয়। তাঁদের জাহাজেই কার্যত আটকে রাখা হয়েছে এফবিআইয়ের নির্দেশে।
সেই নাবিকেরা এখনও জাহাজেই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। এরই মধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে, ‘তদন্তের স্বার্থে’ বেশির ভাগ ভারতীয় নাবিকের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আমেরিকার গোয়েন্দাকর্তাদের এই আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে অভিযোগ উঠেছে সে দেশের মধ্যেই। আটকে থাকা নাবিকদের পাশাপাশি ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে সক্রিয় হতে অনুরোধও করা হয়েছে। যদিও বল্টিমোরের ইন্টারন্যাশানাল সিফেয়ারার্সের তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজের নাবিকদের খাবার, জল-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে নাবিকদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের।
দুর্ঘটনার সময়ে সেতুর কাজে নিযুক্ত এক কর্মীর মৃতদেহ গত সপ্তাহে উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ছ’জন নির্মানকর্মীর মৃতদেহই উদ্ধার হওয়ার পরে সেতু ভাঙার কাজ শুরু করা হয়। জাহাজ দুর্ঘটনার পরেই বল্টিমোর বন্দরের কাজকর্ম ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হয়। পরে প্যাটাপস্কো নদীতে জাহাজ চলাচলের জন্য অন্য চারটি চ্যানেল খুলে দেওয়া হয়। কিছু জাহাজ সেই পথ দিয়েই যাতায়াত করছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ভাঙা সেতুর জন্য জাহাজ চলাচল কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সরকারি ভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে সেতুর একটি ভাঙা অংশ নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়ছিল। সেটি সরাতে সোমবার আমেরিকান সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারেরা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটান। ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় ওই অংশটি। এর পরে ক্রেন ব্যবহার করে ভাঙা অংশগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বল্টিমোরের মেয়র ব্র্যানডন এম স্কট। তারপরেই সরানো যাবে এম ভি দালিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy