বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ফটোফ্রেম’, তাক লাগিয়ে দিল সেই দুবাই
ঠিক যেন একটা মস্ত ফটোফ্রেম। কিন্তু আসলে এটা একটা বাড়ি। দুবাইয়ের এই বাড়িটিকে সরকারি ভাবে বলা হয়, দুবাই ফ্রেম। চলতি বছরে ৩০ এপ্রিল দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি এর জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের শংসাপত্র পেয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ১৩:২৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
ঠিক যেন একটা মস্ত ফটোফ্রেম। কিন্তু আসলে এটা একটা বাড়ি। দুবাইয়ের এই বাড়িটিকে সরকারি ভাবে বলা হয়, দুবাই ফ্রেম। চলতি বছরে ৩০ এপ্রিল দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি এর জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের শংসাপত্র পেয়েছে।
০২১২
এই বাড়িটি দুবাইয়ের জাবিল পার্কে অবস্থিত। এটির ছাদ থেকে নতুন ও পুরনো দুবাই শহর দেখা যায়।
০৩১২
সাধারণের জন্য সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।
০৪১২
বিল্ডিংয়ের অবজারভেশন ডেকে যেতে গেলে টিকিট কাটতে হয়। বড়দের জন্য দুবাইয়ের টাকায় ৫০ দিরহাম (এক দিরহাম অর্থাৎ ১৯.০৪ টাকা) ও তিন বছরের উপর শিশুদের ২০ দিরহাম দিতে হয়।
০৫১২
তিন বছরের কম বয়সের শিশু ও ৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে।
০৬১২
এই বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা। বিল্ডিংটি উচ্চতায় ১৫০.২৪ মিটার।
০৭১২
৫০তলা বাড়িটির গ্লাস টাওয়ারটি প্রায় ৫০০ ফুট লম্বা দু’টি ফ্রেম দিয়ে এই তৈরি। বিশ্বের বৃহত্তম ফ্রেমও এটি।
০৮১২
দু’টি টাওয়ার সংযুক্ত রয়েছে একটি কাচের সেতুর মাধ্যমে। এর ফলে গোটা শহরের ‘প্যানোরামিক ভিউ’ পাওয়া যায়। দেখা যায় কারামা, দেইরা, বুর দুবাই এবং এমিরেটস টাওয়ারও।
০৯১২
তবে শুধু কাচ নয়, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, রিএনফোর্সড কংক্রিটও ব্যবহার করা হয়েছে দুবাই ফ্রেমে।
১০১২
স্থপতি ফার্নান্দো দোনিস এই বিল্ডিংয়ের নকশা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃতও হয়েছেন এর জন্য।
১১১২
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন আদালতে দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দোনিস। কপিরাইট, খরচ-সহ নানা অভিযোগ আনেন তিনি।
১২১২
দোনিস সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, তাঁরই প্রকল্প চুরি করে, নকশা বদলে তাঁকে বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ফ্রেম।