Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Bangladesh Train Fire

বনগাঁর ও পারের বেনাপোল থেকে ঢাকা যাওয়ার ট্রেনে আগুন, পুড়ে খাক পাঁচ কামরা, মৃত অন্তত চার যাত্রী

বাংলাদেশে নির্বাচন বানচাল করতে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আগেও। গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

An image of Fire

দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেনের বগি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:২৭
Share: Save:

যাত্রিবাহী ট্রেনে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার যাত্রীর। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কমলাপুর স্টেশনের কাছে। ট্রেনটিতে আগুন লাগার ঘণ্টাখানেক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী ভাবে এই আগুন লেগেছিল, তা যদিও গভীর রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাচক্রে, আগামী রবিবার বাংলাদেশে নির্বাচন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রেনটি এ দেশের বনগাঁ সীমান্তের ও পারের বেনাপোল থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। কমলাপুরে পৌঁছনোর আগে রাত ৯টা নাগাদ ট্রেনটিতে আগুন লাগে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ ট্রেনটিতে আচমকা আগুন লেগে যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যে তা আশেপাশের কয়েকটি কামরায় ছড়িয়ে পড়ে। অন্য একটি সূত্রের দাবি, ট্রেনের পাঁচটি কামরায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রথম আলো।

বাংলাদেশে নির্বাচন বানচাল করতে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আগেও। গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি কামরা পুড়ে যায়। পরে একটি কামরা থেকে মা ও শিশু-সহ চার জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও নানা ভাবে পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতীরা।

প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া দলগুলিকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “দু’টো আগুন লাগিয়ে দিলেই সরকার পড়ে যাবে, অত সহজ না। সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপি-জামাত নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।” অশান্তি ঠেকাতে নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে দেশ জুড়ে। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক গত মঙ্গলবার জানিয়েছিল, অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নির্বাচন কমিশন ও অসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে বুধবার থেকেই পথে নামানো হবে সেনা। ১০ তারিখ পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘সাজানো নির্বাচন’ করার অভিযোগে তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগও বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে অশান্তি ঠেকানো হাসিনা সরকারের কাছে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই এই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের মোট ৬২টি জেলাতেই সেনা মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশ বাহিনীর এক লক্ষ ৮০ সদস্যের পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বাহিনীর লক্ষাধিক অফিসার এবং জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবির সঙ্গে যৌথ ভাবে সেনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবে বলেও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE