একাই রাস্তা বানাচ্ছেন মুচামি। ছবি ইউটিউব ভিডিয়োর দৃশ্য।
জঙ্গলে ঘেরা পাহা়ড়ি এলাকা। তাঁর মধ্যে রয়েছে কাগান্দা গ্রাম। সেই গ্রামের মানুষদের বাজার করতে হলে পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্যে এক কিলোমিটার পেরিয়ে যেতে হয় পাশের গ্রামে। সেই এলাকায় নেই কোনও রাস্তা। তাই গ্রাম থেকে বাজার অবধি রাস্তা তৈরির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করেছিলেন সে গ্রামের সাধারণ মানুষজন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কোনও বদল ঘটেনি। তাই প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে গ্রামের মানুষের জন্য একার প্রচেষ্টায় রাস্তা তৈরি করেছেন নিকোলাস মুচামি। তার পর থেকেই গ্রামের মানুষের কাছে নায়কের সম্মান পাচ্ছেন তিনি।
পাহাড়ের ধাপে জঙ্গলে মোড়া কাগান্দা গ্রামটি আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। সেখান থেকেই পাহাড়ের মাটি কেটে, জঙ্গল ছেটে কাগান্দা শপিং সেন্টার অবধি পৌঁছবার রাস্তা বানিয়েছেন মুচামি। এই রাস্তা তৈরির জন্য সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা অবধি কাজ করতেন তিনি। টানা দিন দশেক কাজের পর এই রাস্তা তৈরিতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। রাস্তা তৈরি হওয়ায় বাজার করতে বা চার্চে প্রার্থনার জন্য সহজে পৌঁছে যাচ্ছেন এলাকার মানুষ। সে জন্যই এলাকার মানুষের নয়ণের মণি হয়ে উঠেছেন তিনি।
রাস্তা তৈরির কারিগর নিকোলাস মুচামি রাস্তা তৈরির প্রসঙ্গে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনকে এই রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই আমি চাষের যন্ত্রপাতি দিয়েই রাস্তা তৈরির কাজে নেমে পড়ি। গ্রামের মেয়ে ও শিশুদের কথা ভেবেই এই কাজে নেমেছি আমি।’’
আর মুচামিকে প্রাণভরা আশীর্বাদ জানিয়ে গ্রামের প্রবীণ জোশেফিন আইরিমু বলছেন, ‘‘রাস্তা তৈরি হওয়ায় আমি খুশি। খারাপ রাস্তার জন্য আমার চার্চে যাওয়া বন্ধ হয়েছিল। দু’বছর পর আবার চার্চে যাব আমি।’’
মুচামির এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল বিহারের নিমা গ্রামের মহিলাদের প্রয়াসকে। সেখানে প্রশাসনিক অবহেলার প্রতিবাদে গ্রামের মহিলারা জোট বেঁধে তৈরি করেছিলেন প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা। তবে মুচামি কাজটা করেছেন একা।
আরও পড়ুন: ছেলেরা জঙ্গি, মশলা ব্যবসায়ী বাবা গ্রেফতার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy