নাৎসি: অস্কার গ্র্যোনিং।ছবি: রয়টার্স।
চার বছরের জেল হয়েছিল ২০১৫ সালে। আসামির আর্জি ছিল, রেহাই দেওয়া হোক তাঁকে। সেই আর্জি আজ খারিজ করে দিল জার্মানির ল্যুনেবুর্গের আদালত। জানাল, সাজা ভোগ করতেই হবে অস্কার গ্র্যোনিংকে। চার বছর পরে যাঁর বয়স হবে ১০০।
পোল্যান্ডের কুখ্যাত আউশভিৎস কনসেট্রেশন ক্যাম্পে প্রায় ৩ লাখ মানুষের হত্যাকাণ্ডে ‘জড়িত’ থাকার অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন নাৎসি অফিসার গ্র্যোনিং। দু’বছর আগে সাজা ঘোষণার সময়ে যে বয়সকে রেয়াত করেনি আদালত, সেই বয়সের কারণ দেখিয়েই রেহাই চেয়েছিলেন গ্র্যোনিং। বলেছিলেন, তিনি যেটা করেছিলেন সেটা নীতিগত ভাবে অন্যায় হলেও আইনত তাঁকে অপরাধী বলা যায় না।
কোনও বন্দিকে আউশভিৎসের ক্যাম্পে আনার পরে তাঁর সঙ্গে থাকা টাকাকড়ি স্বাভাবিক ভাবেই কেড়ে নেওয়া হতো। গ্র্যোনিংয়ের কাজ মূলত ছিল, ওই ছিনিয়ে নেওয়া টাকা হিসেব করে গুনে নাৎসিদের সদর দফতরে পাঠানো। তাই আজও তাঁকে ‘আউশভিৎসের খাজাঞ্চি’ বলে ডাকেন অনেকে। সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর মতোই বেশ কয়েক জন প্রাক্তন নাৎসির বিচার হয়েছে জার্মানিতে। ২০১৬-তে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল আউশভিৎসে মোতায়েন হিটলারের শ্যুৎসস্টাফেল বাহিনীর প্রাক্তন অফিসার রাইনহোল্ড হানিংয়ের। তাঁর বয়স তখন ছিল ৯৪।
আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, বিচার মন্ত্রকের কাছে আরও এক বার সাজার বিরুদ্ধে আর্জি জানাতে এক সপ্তাহ সময় পাবেন গ্র্যোনিং। আসামির তরফে আর্জি না এলে পুলিশকে তার ‘কাজ’ করতেই হবে।
তা সে দণ্ডিতের বয়স যতই ৯৬ হোক না কেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy