যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়া। ছবি: সংগৃহীত।
বিনা সতর্কতায় আক্রমণ মানেই এক জন করে সাধারণ নাগরিকের প্রাণ যাওয়া, ইজ়রায়েলকে তেমনই হুঁশিয়ারি দিল প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের তরফে সেনা মুখপাত্র আবু উবাইডিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, ইজ়রায়েলের দিক থেকে আগে থেকে সতর্ক না করে গাজ়ার উপর কোনও আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না। ইজ়রায়েল আক্রমণ করলেই হামাস ইজ়রায়েলি বন্দি নাগরিকদের হত্যা করবে। এক-একটি আক্রমণের অর্থ এক এক জন করে নাগরিকের মৃত্যু।
ইজ়রায়েলের বহু নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাঁদের যুদ্ধবন্দি হিসাবে প্যালেস্তাইনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এক জায়গা থেকে ইজ়রায়েলি সেনা অন্তত ১০০ জন নাগরিকের দেহ উদ্ধার করেছে। তাঁদের ধারণা, ওই নাগরিকদেরও যুদ্ধবন্দি করেছিল হামাস। তার পর খুন করা হয়েছে। হামাস এবং ইজ়রায়েলের সংঘাতে এখনও পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে চলছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমাবর্ষণ।
গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের হামলায় ৬৮০ জনের বেশি প্যালেস্তেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা চার হাজারের কাছাকাছি। গত চার দিন ধরে হামাস এবং ইজ়রায়েলি সেনার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই চার দিনে হামাসের হামলায় ইজ়রায়েলেও বহু প্রাণহানি হয়েছে। মারা গিয়েছেন অন্তত ৯০০ মানুষ।
শনিবার ভোরে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র হামাসের আল কাশিম ব্রিগেডের রকেট হামলার পর থেকেই ইজ়রায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজ়ায় সর্বাত্মক সেনা অভিযানের কথা জানান। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘যুদ্ধে আমরাই জিতব।’’ প্যালেস্তেনীয়দের গাজ়া ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই গাজ়ায় ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানহানা চলছে। এমনকি, ‘প্যালেস্তাইন স্বশাসিত কর্তৃপক্ষের’ নিয়ন্ত্রণাধীন ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকায় আল আকসা মসজিদ সন্নিহিত অঞ্চলে মুসলিম জনবসতির উপর হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy