Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

কেনিয়ার উষ্ণতায় আপ্লুত ওবামা

এই দিনটার জন্য দীর্ঘ ছ’বছর অপেক্ষা করেছে কেনিয়া। কাল সন্ধেবেলা যখন ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ রাজধানী নাইরোবির মাটি ছুঁল, গোটা শহর জুড়ে তখন সাজো সাজো রব। বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত রাস্তাটা ঝকঝকে তকতকে করা হচ্ছিল আগে থেকেই।

হাসি হাসি। শুক্রবার রাতে সৎ ঠাকুরমা (বাঁ দিকে) এবং বোনের সঙ্গে নাইরোবির এক রেস্তোরাঁয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছবি: এএফপি।

হাসি হাসি। শুক্রবার রাতে সৎ ঠাকুরমা (বাঁ দিকে) এবং বোনের সঙ্গে নাইরোবির এক রেস্তোরাঁয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
নাইরোবি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৫ ০২:৫৮
Share: Save:

এই দিনটার জন্য দীর্ঘ ছ’বছর অপেক্ষা করেছে কেনিয়া। কাল সন্ধেবেলা যখন ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ রাজধানী নাইরোবির মাটি ছুঁল, গোটা শহর জুড়ে তখন সাজো সাজো রব। বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত রাস্তাটা ঝকঝকে তকতকে করা হচ্ছিল আগে থেকেই। ‘ঘরের ছেলের’ গাড়ি যে যে রাস্তা ধরে যাবে, বিকেল থেকেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন সেখানে। রাস্তা জুড়ে তাঁর বড় বড় কাটকাউট। কালো বড় গাড়িটার মধ্যে দিয়ে যদি একটি বার দেখা যায় তাঁকে। সেটা দেখার জন্যই হাজারো জনতার মধ্যে উন্মাদনা।

আর কাল সন্ধেয় দু’দিনের সফরে নাইরোবি পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা। এই কেনিয়া আসলে তাঁর বাবার জন্মভূমি। তাঁর দূর সম্পর্কের বহু আত্মীয় এখনও থাকেন এ দেশে। ফলে এ দেশের সঙ্গে তাঁর রক্তের টান, কেনিয়া পৌঁছিয়েই সে কথা জানাতে ভোলেননি ওবামা।

বিমানবন্দরে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন খোদ কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনইয়াত্তা। আর তাঁর পাশেই ইয়োমা ওবামা। বারাক ওবামার সৎ বোন। বোনকে দেখেই তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন ওবামা। একটু কথাবার্তার পরে সোজা হোটেল। রাতে হোটেলে নৈশভোজের আসরও জমজমাট। সৎ ঠাকুরমা, বোন আর তাঁর ‘বর্ধিত’ পরিবারের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন নৈশভোজের টেবিলে। ঠাকুরমার পাশে বসেই কাল রাতে নৈশাহারটা সেরেছেন ওবামা। খোশমেজাজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই ছবি ফলাও করে বেরিয়েছে কেনিয়ার সব কাগজেই। বোন ইয়োমো তো

দু’দিন আগে থেকেই বলে রেখেছেন, ‘‘ও আমাদের পরিবারের নাম

উজ্জ্বল করেছে।’’ একই কথা পরিবারের বাকি সদস্যদের মুখেও। তবে নাইরোবিতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করলেও, যে গ্রামে ওবামার বাবাকে সমাহিত করা হয়েছে, এই সফরে সেখানে আর যাওয়া হবে না ওবামার। কালই ইথিওপিয়া যাওয়ার কথা তাঁর।

তার আগে আজ সকালে নাইরোবিতেই ‘গ্লোবাল এন্তারপ্রেনিওরশিপ সামিট’ নামে এক বৈঠকে হাজির ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কেনিয়ার জন্য ইতিমধ্যেই একশো কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। ওবামাই প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, যিনি কেনিয়া সফরে এলেন। ওবামা এখানে এসে বলেছেন, ‘‘আফ্রিকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত উন্নতশীল এলাকা। এখানকার মানুষ দারিদ্র থেকে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারছে, সেটাই বড় কথা।’’

তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে যে কেনিয়ার মানুষের ভালবাসা, তা এই সফরে এসে বুঝিয়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, ‘‘আমার নাম যে বারাক হুসেন ওবামা, তার একটা কারণ আছে। আমার বাবা এখানকার মানুষ ছিলেন। আর আমার বহু আত্মীয় এখানেই থাকেন। যতবারই এখানে এসেছি, নাইরোবির রাস্তায় হেঁটেছি, এখানকার মানুষের উষ্ণতা আমায় ছুঁয়ে গিয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kenya Obama Obama blends
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE