সংবাদিক বৈঠকে চিনের নাম করেননি অরিন্দম। ফাইল ছবি
পাকিস্তানে বসবাসকারী জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা আব্দুল রউফ আজ়হারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে চিন বাঁচিয়ে দেওয়ার পরে আজ ফের তোপ দাগল ভারত। সাংবাদিক বৈঠকে সরব হয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তবে চিনের নাম করা হয়নি। মুখপাত্রের কথায়, “রাষ্ট্রপুঞ্জে আমাদের স্থায়ী মিশনের তরফ থেকে এই নিয়ে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে কোনও দ্বিচারিতা চলতে পারে না। কোনও ন্যায্য কারণ না-দেখিয়েই এ ভাবে সন্ত্রাসবাদী তালিকায় জঙ্গি নেতার অর্ন্তভুক্তি আটকে দেওয়ার এই প্রয়াস এ বার বন্ধ হোক। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, দুনিয়ার অন্যতম জঘন্য জঙ্গিকে বাঁচিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে তার বিরুদ্ধে অকাট্য নথি ও প্রমাণ রয়েছে। ক্রমাগত দ্বিচারিতা এবং রাজনীতিকরণ করে যাওয়ার ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গিদের নিষিদ্ধ করার প্রথাকেই খাটো করা হচ্ছে।” বাগচীর কথায়, “এটা খুবই দুঃখের যে, যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামগ্রিক কন্ঠস্বরের প্রশ্ন ওঠে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একসুরে কথা বলতে পারে না।”
অন্য দিকে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘চিন আমাদের দেশের সীমান্তে জমি দখলের সাহস দেখিয়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে চিনকে লাল চোখ দেখানো প্রধানমন্ত্রী গত ৮ বছর ধরে চিনের সামনে নতমস্তক। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে চিন শব্দও বার হয় না।’’
ভারত সম্প্রতি জোরদার কূটনৈতিক প্রয়াসে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে চিনা সামরিক জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’-এর আসা আটকে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ ব্যাপারে চিনের অভিযোগ, ভারত শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে জোর করিয়ে এই কাজ করিয়েছে। এই নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “এই অভিযোগ আমরা অস্বীকার করছি। শ্রীলঙ্কা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নেয়।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, “ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা পারস্পরিক সম্মান, স্পর্শকাতরতা এবং স্বার্থের কথা বলে থাকি। এগুলিই সম্পর্কের উন্নতি করতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy