ছবি: সংগৃহীত।
জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এবং এখানে অন্য কোনও দেশের নাক গলানো যে ভারত মানবে না, চিনকে নিশানায় রেখে ফের তা বুঝিয়ে দিল নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে ‘অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) এগিয়ে যাওয়া নিয়েও আজ বেজিংকে একহাত নিল ভারত।
গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছিলেন, ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনেই কাশ্মীর সমস্যার সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। একতরফা পদক্ষেপ, যাতে স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, এমন কিছু করাই ঠিক নয়।’’ আজ এরই পাল্টা ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি পেশ করেছে, তাতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সিপিইসি-কে সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পাক-অধিকৃত অংশও নিজেদের বলে দাবি ভারতের। বিতর্কিত ওই অংশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জেরও। অথচ চিন সেখানেই কয়েকশো কোটি ডলারের রাস্তা তৈরি করতে চেয়ে আদতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ দিল্লির।
রাষ্ট্রপুঞ্জে চিনা বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তানের পড়শি হওয়ার সুবাদেই কাশ্মীর সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান এবং বিবদমান দু’শের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক দেখতে চায় চিন। বেজিংকে জবাব দেওয়ার মতো করেই বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘আমরা আশা করব, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে সব দেশই সম্মান জানাবে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ অবিচ্ছেদ্য ভারতের অংশ। তাই এখানকার ঘটনাবলীও একেবারেই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy