গাজ়ায় ইজ়রায়েলি বিমানহানা। ছবি: রয়টার্স।
কতকটা একই কৌশল নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ঢাকার আকাশে। ভারতীয় সেনা এবং বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের ‘চক্রব্যূহে’ আটক পাক বাহিনীকে আত্মসমর্পণের ‘চরম সময়সীমা’ দিয়ে রাশি রাশি প্রচারপত্র ফেলা হয়েছিল। আর তাতে ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। সময়সীমার মধ্যেই যৌথবাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল পাক বাহিনী।
গাজ়ায় হামাস বাহিনীকে ‘একঘরে’ করতে এ বার সেই কৌশলই কাজে লাগাচ্ছে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। গাজ়ার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে দক্ষিণপ্রান্তে যাওয়ার জন্য বিমান থেকে রাশি রাশি প্রচারপত্র ফেলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলছে ধারাবাহিক বোমাবর্ষণও। ভূমধ্যসাগর লাগোয়া প্যালেস্তেনীয় জনপদের বাসিন্দাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার জন্য পড়শি মিশরের সঙ্গেও ইজ়রায়েল এবং পশ্চিমী দেশগুলির আলোচনা চলছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাতেই ইজ়রায়েলের সেনা রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানিয়েছে যে, তারা ২৩ লক্ষ প্যালেস্তেনীয় নাগরিকের আবাসভূমি গাজ়ার অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে সরে যাওয়ার কথা বলেছে। মূলত মধ্য ও উত্তর গাজ়ার বাসিন্দাদেরই এই ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই ইজ়রায়েলি স্থলসেনা অভিযান শুরু করতে চলেছে বলে অনুমান।
ইতিমধ্যেই নিয়মিত এবং সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়নগুলির প্রায় আড়াই লক্ষ সেনাকে গাজ়া সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা অভিযান শুরু করলে যাতে অসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি কম হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রচারপত্র-কৌশল। পাশাপাশি, এই কৌশলে অসামরিক নাগরিকদের থেকে হামাস যোদ্ধাদের বিচ্ছিন্ন করা যাবে বলেও মনে করছে তেল আভিভ। কারণ হুঁশিয়ারির জেরে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ অসামরিক প্যালেস্তেনীয় নাগরিক তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy