জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।
স্পিকারকে চোখ টিপে, জিভ দেখিয়ে বিশেষ অঙ্গভঙ্গি করে নতুন বিতর্কে জড়ালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পুরো বিষয়টি লঘুচালে, মশকরা করতে করা হলেও, ট্রুডোর আচরণ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কানাডার নেটাগরিকদের বড় একটি অংশ ট্রুডোর ‘অসংযত’ আচরণের নিন্দা করেছেন।
কানাডার হাউস অফ কমন্সে সম্প্রতি নতুন স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন গ্রেগ ফার্গাস। কার্যভার গ্রহণ করার পরে তিনি প্রথম দিন পার্লামেন্টে এসেই ট্রুডোকে ‘সম্মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন। হঠাৎই উঠে দাঁড়িয়ে স্পিকারকে সংশোধন করে দিয়ে ট্রুডো বলেন, “অতি সম্মাননীয়’ হবে। হাসিমুখে এ কথা বলতে বলতেই স্পিকারের দিকে তাকিয়ে চোখ টেপেন তিনি। জিভ বার করেও হাসতে দেখা যায় তাঁকে। ট্রুডোর এই কাণ্ডকারখানায় হেসে ওঠেন তাঁর দল লিবেরাল পার্টির সদস্যেরাও।
যদিও ট্রুডোর এই কাজে ক্ষুব্ধ কানাডার নাগরিকদের একাংশ। সমাজমাধ্যমে এক নেটাগরিক লেখেন, “আত্মরতির এক অন্য পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন ট্রুডো। তাঁর আচরণ একটা শিশুর মতো।” আর এক জন লেখেন, “এটা উনি (ট্রুডো) ব্যক্তিগত পরিসরে করতেই পারেন। কিন্তু পার্লামেন্টে এক জন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।”
মঙ্গলবারই দায়িত্বভার নিয়েছেন কানাডার নতুন স্পিকার ফার্গাস। কানাডার ইতিহাসে তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ স্পিকার। তাই তাঁকে উদ্দেশ্য করে ট্রুডোর অঙ্গভঙ্গি অন্য মাত্রা পেয়েছে। খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন ট্রুডো। তাই নিয়ে বিস্তর বিতর্কে জড়ান তিনি। কিন্তু দু’সপ্তাহের মাথাতেই সুর নরম করে ট্রুডো জানান, বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটতে চান না তিনি। ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিবিড় করার বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার কানাডার রাজধানী অটোয়ায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আর আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy