আঠারো পাতার চিঠিটি লেখা হয়েছিল ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে সেটি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হাতে এসে পৌঁছয় হোয়াইট হাউস ছাড়ার দিন কয়েক আগে। চিঠির লেখক ৯/১১-র অন্যতম চক্রী খালিদ শেখ মহম্মদ। গুয়ান্তানামো বে-র কারাগারে ২০০৬ সাল থেকে বন্দি খালেদ তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে তাঁকে ‘সাপেদের প্রধান’ বলে সম্বোধন করেছে। চিঠিটি প্রকাশ করেছে একটি মার্কিন দৈনিক।
কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা এত দিন চিঠিটি হোয়াইট হাউসে পৌঁছননি। কারণ এটা জঙ্গিদের হয়ে প্রচার বলে মনে হতে পারে। শেষ পর্যন্ত ওবামা হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে সামরিক বিচারকের নির্দেশে চিঠিটি এসে পৌঁছয়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘লড়াইটা আমরা শুরু করিনি। আমাদের দেশে তোমরা, তোমাদের শাসকরা লড়াইটা শুরু করেছিল। আমেরিকাকে ‘নিপীড়ন ও অপশাসনের দেশ’ বলে উল্লেখ করেছে খালিদ। ২০০৩ সালে পাকিস্তান থেকে ধৃত ওই জঙ্গির বক্তব্য, ‘‘৯/১১ হল কেন? ভবিষ্যতেও এমন ঘটবে কেন? ১৯৪৮ থেকে প্যালেস্তাইনে যুদ্ধাপরাধ চলছে। এখন গাজায় এক অবস্থা। এ সব থেকেই বোঝা যায় কেন ৯/১১ ঘটেছিল।’’ খালেদের মতে, ‘‘ওবামা এক জন ঝকঝকে আইনজীবী যাঁর মানবাধিকার নিয়ে প্রচুর জ্ঞান। তিনি শত্রুর বিচার হওয়ার আগেই তাকে মেরে ফেলে দেন সাগরে। শত্রুকে এক জন মানুষের সম্মানটুকুও দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেন না।’’
২০০৭ সালে জেরার সময় খালেদ স্বীকার করে ৯/১১-এর হামলার অন্যতম চক্রী সে। তার চিঠি অনুযায়ী, তাকে তার সেল-এ বন্দি রেখে দিলেও সে খুশি। বাকি জীবনটা আল্লাহ্-র নাম করেই কাটিয়ে দেবে সে। আর যদি আমেরিকা তাকে ফাঁসি দেয়, তাতে আরও খুশি খালেদ। তার কথায়, ‘‘আল্লাহ্-র সঙ্গে দেখা হবে। তোমরা যাদের মেরে ফেলেছ, সেই সব বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা হবে।’’ হিরোশিমা, ভিয়েতনাম, ইরান এবং ইরাকে মার্কিন অভিযানের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে ৯/১১-র পক্ষে আরও যুক্তি সাজিয়েছে খালেদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy