পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ। —ফাইল চিত্র।
তোশাখানা উপহার মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ক্রিকেট তারকা ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। তবে এ বার সেই একই তোশাখানা উপহার নিয়ে দেশের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিলেন লাহোর হাই কোর্টের বিচারপতি রাহিল কামরান। পাশাপাশি, পাক সংবাদমাধ্যম আজ জানিয়েছে, দু’টি কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে ইমরানের। তাঁর দল পিটিআইয়ের কাছে যা বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। বিদেশে নির্বাসনে থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পিএমএল(এন)-এর প্রধান নওয়াজ় শরিফ তাতে অংশ নিতে দেশে ফিরেছেন মাস দু’য়েক আগে। নওয়াজ়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলা খারিজ করে দিয়েছে পাক আদালত। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, সেনার সাহায্যে ফের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসতে চলেছেন নওয়াজ়। এই পরিস্থিতিতে লাহোর হাই কোর্টে নওয়াজ়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তনভীর সারওয়ার নামে এক আবেদনকারী। পাক নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, আগামী নির্বাচনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রার্থী হচ্ছেন, এমন সব প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আইনসভার সদস্যের তোশাখানা থেকে পাওয়া উপহার প্রকাশ্যে আনতে নির্দেশ দিক কমিশন। আবেদনকারীর যুক্তি ছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যে হেতু তোশাখানা থেকে পাওয়া উপহার প্রকাশ্যে না আনার জন্য কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে, তাই বাকিদের ক্ষেত্রেও উপহারগুলি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়া হোক। নওয়াজ়ের পাশাপাশি এই মামলার আওতায় আনা হয়েছিল ইউসুফ রাজ়া গিলানি, শাহিদ খকন আব্বাসির মতো দেশের কয়েক জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারিকেও। তনভীরের বক্তব্য ছিল, এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইমরানকে সাজা শুনিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গত কাল লাহোর আদালত তনভীরের সেই আবেদন বৈধ নয় বলে খারিজ করে দিয়েছে।
এর পাশাপাশি আজই জানা গিয়েছে যে, লাহোর এবং মিয়াঁওয়ালির দুই কেন্দ্র থেকে লড়ার জন্য ইমরান যে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনও কেন্দ্র থেকেই আর ভোটে লড়তে পারবেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy